ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

এভসেকের বিরুদ্ধে এপিবিএনের অফিস দখলের অভিযোগ

২০২৪ অক্টোবর ৩০ ১১:০৩:৪৮
এভসেকের বিরুদ্ধে এপিবিএনের অফিস দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) বিরুদ্ধে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি অফিস দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিটি করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার এসআই সোলাইমান কবির।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সকাল সোয়া ১০টার দিকে এভসেকে কর্মরত স্কোয়াড্রন লিডার তাসফিক তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে কল দিয়ে জানান, অ্যাপ্রোন এরিয়ার ৩৩ নম্বর গেটে আপনাদের (এপিবিএন) অফিস থেকে মালামাল সরিয়ে ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেটে রাখা হয়েছে। আপনাদের পুলিশ পাঠিয়ে এগুলো নিয়ে যান। পরে তিনি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পূর্বে না জানিয়ে কেন মালামালগুলো সরিয়ে অন্যত্র রাখলো এমন প্রশ্নে এভসেকের ডেপুটি ডিরেক্টর অপারেশন সাইফুর রহমান জানান, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ও এভসেকের ডিরেক্টর উইং কমান্ডার জাহাঙ্গীরের নির্দেশে এগুলো সরানো হয়েছে।’

জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরে তথ্য নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ওই অফিসের প্রবেশমুখে বাম পাশে দেয়ালে লেখা এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, এয়ার সাইড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল লেখা সাইনেবার্ডটি ভঙ্গুর অবস্থায় অফিসের ভেতরে রাখা হয়েছে। অফিসের ভেতরে থাকা সরকারি কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, ২০১০ সাল থেকে রক্ষিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র নির্দিষ্ট স্থানে পাওয়া যায়নি। অফিসের সিসি ক্যামেরাটি সাদা কাগজে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। অফিসের সামনের এপিবিএনের লোগো সম্বলিত স্টিকার উৎপাটন করে বিএফ টাস্কফোর্স লেখা, একই সঙ্গে বিমানবাহিনী ও সিভিল এভিয়েশনের লোগো বসানো রয়েছে। সিসি ক্যামেরাটি ভারী কাগজে মোড়ানোর কারণে কী কী মালামাল ও গুরুত্বপূর্ণ কী কী নথি সরানো হয়েছে তা সিসি ক্যামেরা বিশ্লেষণে পরিপূর্ণভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।’

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, এমন ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যথেষ্ট সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের না জানিয়ে তারা যে কাজটি করলো তা রীতিমতো দখলের সামিল।

এস/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে