ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

সমন্বয়কের মামলায় আওয়ামী লীগের মৃত ৩ নেতা আসামি

২০২৪ অক্টোবর ০৫ ১৫:২০:২৪
সমন্বয়কের মামলায় আওয়ামী লীগের মৃত ৩ নেতা আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. এমরান।

মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে তিনজন মৃত বলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

মামলায় ২৭, ৩৩ ও ৫৫ নম্বর আসামি হিসেবে যে তিনজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মৃত।

এই তিন নেতা হলেন ২৭ নম্বর আসামি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার, ৩৩ নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মমিন এবং ৫৫ নম্বর আসামি উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওরফে ফরিদ।

মৃত ব্যক্তিদের আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে উপজেলার বেলতলীর মনিপুর ও চাঙ্গিনি দক্ষিণ মোড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।

মামলায় ২৭, ৩৩ ও ৫৫ নম্বর আসামিদের পরিবারের সদস্যদরা গণমাধ্যমকে জানান, মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাওড়াতলী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০২৩ সালের ১১ জুলাই মারা গেছেন। চলতি বছরের ২৪ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার শিকারপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান আবদুল মমিন। আর ওয়াহিদুর রহমান গত বছরের সেপ্টেম্বরে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মমিনের ছেলে আবু সাঈদ বলেন, ‘আমার বাবা কবর থেকে হামলা করেছেন, জেনে অবাক হয়েছি। তিনি তো জুনেই মারা গেছেন। তিনি কী করে ৪ আগস্টের হামলার ঘটনায় মামলার আসামি হতে পারেন, আমাদের বুঝে আসে না। তাঁরা যাচাই-বাছাই না করে এভাবে মামলা করলে মানুষ অযথা হয়রানির শিকার হবে। মনে হচ্ছে, এটা গায়েবি মামলা।’

আরেক প্রয়াত নেতা ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মারা যাওয়ার এক বছর পরে বাবা কীভাবে হামলা চালিয়েছেন? একজন মৃত মানুষও কি শান্তিতে থাকতে পারবে না?’

মামলার বাদী মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার অভিযোগ ও অভিযুক্তদের নামে কোনো সমস্যা নেই। তবে আসামি শনাক্তে কোনো ভুল হয়েছে কি না, সেটি আমরা দেখছি। যদি কোনো মৃত মানুষের নাম ভুলে চলে আসে, তাহলে পুলিশের তদন্তে তাঁকে বাদ দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তেই সব বের হয়ে আসবে। এতে মৃত কোনো ব্যক্তি আসামি হলে তাঁদের নাম বাদ যাবে।

তারিক/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে