ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

রপ্তানি আয়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার গরমিল, প্রমাণ চায় আইএমএফ

২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৫ ২০:০০:১১
রপ্তানি আয়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার গরমিল, প্রমাণ চায় আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

রপ্তানি আয়ে বিপুল পরিমাণ ডলার কীভাবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বেশি দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কোন তথ্যের ভিত্তিতে তা শনাক্ত করেছে—সেসব কাগজপত্র যাচাই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।

এ বিষয়ে গভর্নরের অবস্থান জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জানতে চেয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে জানতে চাইলে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক পর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব একেবারে সঠিক। এটা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদি সংশয় থাকে আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে সব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল প্রান্তিকের বৈদেশিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করলে সেখানে ১৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির তথ্যে হেরফের দেখা দেয়। পরে ইপিবির রপ্তানি আয় থেকে গরমিলের ওই পরিমাণ বাদ দেওয়া হয়। এতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের হিসাব এলোমেলো হয়ে পড়ে। বিশেষ করে লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে বড় পরিবর্তন দেখা দেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রপ্তানির ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আর ইপিবির তথ্যে রপ্তানি দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির পণ্য জাহাজীকরণের ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা দেয় ১৩.৮০ বিলিয়ন ডলার।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে