ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

নতুন ঋণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

২০২৪ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:৩৪:২৭
নতুন ঋণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কার্যক্রম চলমান। যার শর্ত পূরণে সংস্কার কার্যক্রম চলছে।

এরই মধ্যে সরকার আরও ঋণের জন্য আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছে। ৩০০ কোটি ডলারের নতুন ঋণের আবেদন করা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সফরে আসছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

পূর্বের ঋণের তিনটি কিস্তির ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ইতোমধ্যে ছাড় হয়েছে। ৭টি কিস্তিতে পুরো অর্থ মিলবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।

নতুন ঋণের জন্যও আর্থিক খাতের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চায় আইএমএফ। স্থিতিশীলতার জন্য এ সময় অর্থের বিকল্প নেই বলে মত বিশ্লেষকদের।

পরিবর্তিত অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গত ২৯ আগস্ট আইএমএফ উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে চলমান ঋণ বর্ধিত করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় এ মাসেই ছয় দিনের ঢাকা সফরে আসছে আইএমএফ স্টাফ মিশন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এগুলো যেন বাণিজ্যিক ঋণ না হয়, কেননা সরকার বাণিজ্যিক ঋণ নেয়ার পরিস্থিতিতে নেই। ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের একটি কাটামোতে আমরা ঢুকেছি। যত সহজ শর্তই হোক, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের কাঠামোটা ভালো লক্ষণ না। বরং এটি একটি দুষ্টু চক্রের ইঙ্গিত দেয়।

তিনি বলেন, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের সংস্কার উদ্যোগকে গুরুত্ব দেয় আইএমএফ। এক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের সুশাসন, রাজস্ব খাতের অটোমেশন, পুঁজিবাজারে স্বস্তি, বিনিয়োগ পরিবেশ, অর্থের ব্যবহারসহ নানাদিক গুরুত্ব পায়। ঋণের অঙ্ক বাড়লে পরিশোধেও বাড়বে চাপ। কিন্তু এই সময়ে অর্থের বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফের নীতির সঙ্গে প্রো-বিজনেস, প্রো-রিফর্মের এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১ মাসের মধ্যে ব্যাপক ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় বেশকিছু ইতিবাচক সংস্কার করার চেষ্টা করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোকে রিফর্ম করার উদ্যোগ নেয়া এবং একইসাথে এনবিআরের রিফর্ম আমরা দেখতে পাচ্ছি।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রাজস্ব খাতে সংস্কার উদ্যোগ হাতে নেয়া গেলে বাড়ানো সম্ভব অভ্যন্তরীণ আয়। এ নিয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফ আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে নিয়ে যেটা করেছে, কর প্রশাসনকে যদি শক্তিশালী করা যায়, সেভাবে অটোমেশন করা গেলে জিডিপির ২-৩ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ঋণ নির্ভরতা বাড়লেও জ্বালানির দেনা পরিশোধে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত অর্থ।

তারিক/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে