ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

আতঙ্ক ছড়িয়ে শেয়ার হাতানোর কৌশলে বড় বিনিয়োগকারীরা

২০২৪ জুলাই ০৩ ১৫:০৮:৪০
আতঙ্ক ছড়িয়ে শেয়ার হাতানোর কৌশলে বড় বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন যাবত পতনের বৃত্তে ঘুরফাক খাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। এখন তলানির সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে। কিন্তু তলানিতে থাকার পরও বড় বিনিয়োগকারীরা আতঙ্ক ছড়িয়ে কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকে চড়া দামে শেয়ার বিক্রি করে তাদের পোর্টফোলিও খালি করে ফেলেছেন। এখন তারা ধীরে গতিতে ফের বাজারে ঢুকছেন। কিন্তু কম দামে শেয়ার সংগ্রহ করতে না পেরে তারা এখন আতঙ্ক ছাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন। যে কারণে উত্থানের বাজার চোখের নিমিষে পতনে রূপ নিচ্ছে। আবার পতনের বাজার অস্থিরতা ছড়ানোর পর উত্থানে ফিরছে। সকালে উত্থান প্রবণতা থাকলেও বিকালে পতনের কালো মেঘে ছেয়ে যায় শেয়ারবাজার। আবার সকালে পতনের কালো মেঘ থাকলেও বিকালে ফকফকে সাদা হয়ে উত্থান ধারায় অগ্রসর হয়। বাংলাদেশের শেয়ারবাজার যেন নিয়ম ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মত্ত।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, উত্থানের দিনেও অনেক শেয়ার মূহুর্তের মধ্যে ক্রেতাহীন করে ফেলে। আবার পতনের বাজারেও অনেক শেয়ার বিক্রেতাহীন করে ফেলে। সম্ভাবনাময় বাজারে কিছু বড় বিনিয়োগকারীর সব সময় অস্থিরতার মধ্যে রাখছে। যাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও সব সময় অস্থির প্রবণতায় থাকে এবং কম দামে তারা তাদের শেয়ার ছেড়ে দেয়।

আবদুর রহিম নামে এক বিনিয়োগকারী শেয়ারনিউজকে বলেন, আগেরদিন বাজার ভালো উত্থান প্রবণতায় শেষ হলেও আজ সকালেই বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতেই বাজারকে নেতিবাচক প্রবণতায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নেতিবাচক প্রবণতার মধ্যেও এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের মতো বড় লেনদেনের কিছু শেয়ারে চাঙ্গাভাব দেখা যায়।

মজার ব্যাপার হলো, যখন বাজার ঘুরে দাঁড়ায় এবং ধীরে ধীরে উত্থানের পথে এগুতে থাকে, তখন এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের মতো বড় লেনেদেনের কোম্পাগুলোর শেয়ার ক্রেতাহীন হয়ে যায়। ক্রেতাহীন অবস্থায় কোম্পানিগুলোর লাখ লাখ শেয়ার বিক্রির ভূমিকায় দাঁড়িয়ে যায়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারগুলো নিয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এভাবে অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে বড় বিনিয়োগকারীরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছে।

এই বিষয়ে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার এখন সবচেয়ে বেশি তলানিতে রয়েছে। যেকোন সময় বাজারে বড় উত্থান দেখা যেতে পারে। এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। তারা যেন অস্থির হয়ে কম দামে শেয়ার ছেড়ে না দেন। তাঁরা বলছেন, বাজারে বড় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছে। বাজারকে সামনে নেয়ারও নানা পদক্ষেপও আসছে। এতে উত্থান-পতনের প্রক্রিয়া সপ্তাহান্তে বাজার সামনের দিকেই অগ্রসর হবে।

বুধবারের বাজার পর্যালোচনা

আজে বুধবার (০৩ জুন) ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৮.৮১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯১২ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৫৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিনের চেয়ে আজ লেনদেন বেড়েছে ৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

আজ ডিএসইতে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪১টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে