ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

নিউইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশিদের দায়িত্ববোধের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

২০২৪ মার্চ ২৪ ২২:১০:৪১
নিউইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশিদের দায়িত্ববোধের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

প্রবাস ডেস্ক : নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশি অফিসারদের সংগঠন ‘বাপা’র (বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ইফতার-ডিনার সমাবেশে।

২৩ মার্চ শনিবার এই সমাবেশ হয় কুইন্সে জয়া পার্টি হলে। পুলিশ বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্য ছাড়াও এতে ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিত্বকারী তিন শতাধিক ব্যক্তিবর্গ।

বিশেষ সম্মানীত অতিথি হিসেবে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ম্যালিন্ডা ক্যাটজ সকলকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি মুসলিম আমেরিকানরা কুইন্স কাউন্টি তথা নিউইয়র্ক সিটির অহংকারের অংশিদার এবং এই সিটির ভবিষ্যত বিনির্মাণেও অন্যতম সহায়ক শক্তি।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার ক্ষেত্রেও শক্তিশালী পার্টনার। সপরিবারে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকানরা কুইন্স বরোর অবকাঠামোগত উন্নয়নেও প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন।

ম্যালিন্ডা ক্যাটজ বাপার প্রশংসাকালে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে এসব অফিসারের সক্রিয় ভূমিকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অপরিসীম অবদান রাখছে। তারা জীবন বাজি রেখে কুইন্সের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। এই জন্য আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাচ্ছি।

এই সময় এনওয়াইপিডির অফিসারেরা দাঁড়ালে সকলে করতালিতে মুখরিত করেন গোটা পরিবেশ।

বাপার প্রেসিডেন্ট (সুপারভাইজার ডিটেকটিভ স্কোয়াড) এরশাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ইফতার-ডিনার মাহফিল সঞ্চালনা করেন বাপার সেক্রেটারি ডিটেকটিভ রাশিক মালিক। মাওলানা ইসমাইল হোসেনের কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং রমজানের গুরুত্ব আলোকে বক্তব্যের আগে নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের চিফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাশার, বাপার সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন করম চৌধুরী এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম আলমও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা এবং আগাম ঈদ মোবারক দেন। এ সময় সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে বাপার কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বাপা কর্মকর্তাগণের হাতে একটি সাইটেশন হস্তান্তর করেন মীর বাশার।

মীর বাশার এই প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই নিউইয়র্ক সিটির জনজীবনকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশি অফিসাররা সততা-নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার যে স্বাক্ষর রাখছেন তা একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমাকেও অভিভূত করে।

মঈন চৌধুরী বলেন, আমার পরিবারের অনেকে পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন। তাই আমি মনে করি এটি আমার পরিবার। যতদিন সামর্থ্য থাকবে ততদিন এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। এ জন্য সকলের দোয়া চাই।

মঈন চৌধুরী উল্লেখ করেন, ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এবং আইনজীবী হিসেবে কম্যুনিটি ও প্রশাসনের অনেকের সাথে মেলামেশার সুযোগ ঘটে। প্রায় সকলেই বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমন প্রশংসাবাক্য আমাকেও আপ্লুত করে।

মাহফিলে আগতদের স্বাগত জানান বাপার সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ চৌধুরী, কম্যুনিটি লিয়াজো সর্দার মামুন, মিডিয়া লিয়াজো জামিল সরোয়ার, করেসপন্ডিং সেক্রেটারি অক্সিলারি ক্যাপ্টেন সাঈদ এনায়েত আলী, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মাহবুব জুয়েল, ট্রেজারার মেহদী মামুন এবং কো-ট্রেজারার জসিম মিয়া। তারা প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সকল কর্মকাণ্ডে অকৃপণভাবে সাড়া দেয়ায় পুলিশ হিসেবে আমাদের কর্মকাণ্ড উৎসাহিত হচ্ছে।

শেয়ারনিউজ, ২৪ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে