ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ফ্লোরহীন মার্কেটে বিনিয়োগের পরামর্শ

২০২৪ জানুয়ারি ২৭ ০৮:৩২:৪৩
ফ্লোরহীন মার্কেটে বিনিয়োগের পরামর্শ

বুলবুল হায়দার : জগতে যা কিছু আছে তাদের নিজস্ব স্বাভাবিকতা আছে। ঠিক তেমনি শেয়ারবাজারেরও স্বাভাবিকতা আছে। কোনো কিছু দিয়ে সে স্বাভাবিকতা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সে স্বাভাবিকতা নষ্ট হয় বা ব্যহত হয়।

শেয়ারবাজারকে কোনো প্যারামিটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করলে এই বাজার ও স্বাভাবিকতা হারায় কয়েকদিন আগে আমরা তা দেখেছি। ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল ২০২২ সাল থেকে। ঐ সময়ে মার্কেটে সর্বনিম্ন টার্নওভার ১৪৬ কোটিতে নেমছিল, এটা আমরা দেখেছি।

গত ২১ জানুয়ারি তালিকাভুক্ত ৩৫টি কোম্পানি রেখে বাকি সব স্টকের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয় এবং তার একদিন পরে ১২টি রেখে বাকি ২৩টির ফ্লোর প্রাইসও তুলে দেয়া হয়।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া নিয়ে একটা অজানা শঙ্কা বিনিয়োগকারীদের মনে সব সময় ছিল। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার গুজবে বিভিন্ন সময়ে সূচকের পতন আমরা দেখেছি। ফ্লোরের মার্কেটে হাজার কোটি টাকা টার্নওভার দেখা না গেলেও ফ্লোরহীন মার্কেটের দ্বিতীয় দিন থেকে হাজার কোটি টাকা টার্নোভার আমরা দেখেছি। যদিও শেষ কর্মদিবসে টার্নওভার ৮৭০ কোটি টাকায় নেমেছে। এদিন শেয়ারবাজারে বড় পতন হওয়ায় টার্নওভার অনেকটা কমে গেছে।

ফ্লোর প্রাইস তোলার প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক কমেছে ৯৬ পয়েন্ট। তবে দ্বিতীয় কর্মদিবস থেকেই বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর দুই কর্মদিবসে ডিএসইর সূচক বাড়ে ৩৬ পয়েন্ট। কিন্তু শেষের দুই কর্মদিবস বুধবার ও বৃহস্পতিবার সূচক কমে যায় যথাক্রমে ৫০ পয়েন্ট ও ৭০ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন, ফ্লোর প্রাইস তোলার দ্বিতীয় কর্মদিবস ও তৃতীয় কর্মদিবসে স্মার্ট মানি বিনিয়োগকারীরা বাজারে সক্রিয় ছিল। যে কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ কর্মদিবসে তারা কিছুটা নিষ্ক্রিয় থেকে বাজারের সেন্টিমেন্ট বুঝার চেষ্টা করেছে। যে কারণে ওই দুই দিন বাজারে বড় পতন হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্মার্ট মানি বিনিয়োগকারীদের চাপেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তোলার ঝুঁকি নিয়েছিল। স্মার্ট মানি বিনিয়োগকারীরা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সাহসও যুগিয়েছিল। এখন তাদের দায়িত্ব হবে বাজারকে সাপোর্ট দেয়া। অন্যথায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে তাদের অবস্থান গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। যে কারণে চলতি সপ্তাহে স্মার্ট মানি বিনিয়োগকারীদের বড় সাপোর্ট দেখা যেতে পারে এবং বাজার অবশ্যই ইউটার্ন নেবে-এমনটাই আশা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তাঁরা আরও মনে করেন সরকারের উচ্চ মহলসহ বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে শেয়ারবাজারকে ভালো করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তার সুফল বিনিয়োগকারীরা শিগগির হয়তো পেতে শুরু করবে।

এদিকে, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার পর কোনো স্টক ১০ শতাংশ কমে সাপোর্ট নিয়েছে আবার কোনো স্টক ২০ শতাংশ কমে সাপোর্ট নিতে চেষ্টা করছে। আবার কোনো স্টক ৩০ শতাংশের বেশি কমেও সাপোর্ট নিতে পারছে না।

ঘটনা যেটাই ঘটুক, সকল স্টককে একটা জায়গা থেকে সাপোর্ট নিতেই হবে, এখন শুধু পর্যোবেক্ষণের বিষয় কোথা থেকে সাপোর্ট নেবে। এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা স্টকের সাপোর্ট নেয়ার জায়গা বুঝে নতুন বিনিয়োগ করতে পারলে অথবা পূর্বে বিনিয়োগ থাকলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে এভারেজ করতে পারলে লাভবান হবেন।

এই সংক্রান্ত টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস দেখুন

ফ্লোরহীন মার্কেটে লস রিকভার টেকনিক

শেয়ারনিউজ, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে