ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ডিভিডেন্ড বেড়েছে খাদ্য খাতের ৬ কোম্পানির

২০২৪ জানুয়ারি ০৯ ১৮:৪৭:১৬
ডিভিডেন্ড বেড়েছে খাদ্য খাতের ৬ কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে বহুজাতিক বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো ও ইউনিলিভার কেয়ার ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কোম্পানি। বাকি ১৯টি কোম্পানি জুন ক্লোজিংয়ের। যার মধ্যে ৬টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত বছর ২০২২ সালে যে পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল, এবছর ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো ৬টি হলো- এমারেন্ড অয়েল, ফু-ওয়াং ফুড, বিচ হ্যাচারি, জেমিনি সী ফুড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড। এরমধ্যে ফু-ওয়াং ফুড দুই বছর এবছর শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিল।

এমারেল্ড অয়েল

সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা।

অর্থবছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১০ টাকা ৩৭ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ১০ টাকা ৮৫ পয়সা।

ফু-ওয়াং ফুড

সমাপ্ত অর্থবছরের দুই প্রান্তিকের আয় বিবেচনায় কোম্পানিটি ০.৫০ শতাংশ অন্তবর্তী ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। যা ৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য চুড়ান্ত ডিভিডেন্ড হিসাবে দেওয়া হয়েছে। আগের দুই অর্থবছরে কোম্পানিটি কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

উল্লেখ্য, ডিএসই কোম্পানিটির প্রোপাইলে ইপিএস, সম্পদ মূল্য আপডেট করলেও ডিভিডেন্ড আপডেট করেনি। ডিএসই কোম্পানিটির প্রোপাইলে ডিভিডেন্ড শুন্য দেখিয়েছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

অর্থবছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২ টাকা ৪৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ১৮ পয়সা।

বিচ হ্যাচারি

৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি কোম্পানিটি ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভেডেন্ড দিয়েছিল।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২২ পয়সা।

অর্থবছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭৩ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ৫৭ পয়সা।

জেমিনি সী ফুড

৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ২০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৭৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৩০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১২ টাকা ৪৯ পয়সা।

অর্থবছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৬০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৪৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬ টাকা ৩ পয়সা।

অর্থবছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ১২ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৬ টাকা ৮৪ পয়সা।

রহিমা ফুড

৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ০৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৯ পয়সা।

অর্থবছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সায়। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ৫৩ পয়সা।

শেয়ারনিউজ, ০৯ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে