ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

সংবাদপত্রে প্রকাশিত অসত্য সংবাদের প্রতিবাদ ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যাখ্যা

২০২৩ ডিসেম্বর ২৬ ০০:২০:৩৬
সংবাদপত্রে প্রকাশিত অসত্য সংবাদের প্রতিবাদ ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ১৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার দেশের কয়েকটি সংবাদপত্রে শরিয়াহ্ ভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তারল্য সংকট সংক্রান্ত যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশ ব্যাংকের কথিত চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনিয়ন ব্যাংক সম্পর্কে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাস্তবতা বিবর্জিত, অপ্রাসঙ্গিক ও অতিরঞ্জিত অনেক বক্তব্য লেখা হয়েছে, যা সত্যের অপলাপমাত্র । দেশের ব্যাংক খাত তথা অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার হীনচক্রান্ত থেকেই এসব অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি চিহ্নিত গোষ্ঠি দেশের শরিয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যাচার করে আসছে। তারল্য সংকট সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ সেসব মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রমূলক নীল নকশারই অংশ ।

দেশের চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি সবচেয়ে সফল ব্যাংক হিসাবে সর্বমহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। এই ব্যাংকের মূলধন কাঠামো ও আর্থিক ভিত সবচেয়ে শক্তিশালী। আইপিওর মাধ্যমে ইউনিয়ন ব্যাংক এরই মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইউনিয়ন ব্যাংক আমানতকারীদের প্রতিটি অর্থের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে আসছে। এই কারণে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র ইউনিয়ন ব্যাংকের সম্পদ, আমানত ও বিনিয়োগ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এটি সমসাময়িক ব্যাংক তো বটেই, এমনকি দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের অনেক ব্যাংকের চেয়েও বেশি।

প্রকাশিত সংবাদে ইউনিয়ন ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, সেটি সর্বৈব মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হলো, দুই বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম। এই কারণে দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকই তারল্য নিয়ে কিছুটা চাপে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনই রীতিনীতি মেনে ব্যাংকগুলোকে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিচ্ছে।

গত এক বছরে দেশের অনেক ব্যাংকের আমানত স্থিতি কমেও গিয়েছে। এ পরিস্থিতিতেও ইউনিয়ন ব্যাংকের আমানত স্থিতি বেড়েছে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইউনিয়ন ব্যাংকের আমানত ছিল ২১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে আমাদের ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ২২ হাজার ৪২০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ইউনিয়ন ব্যাংকের আমানত স্থিতি বেড়েছে ১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংক ২৯৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ কোটি টাকা বেশি। ইউনিয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারও মাত্র ৩.৫৬ শতাংশ, যা দেশের ব্যাংক খাতের গড় খেলাপির তুলনায় যৎসামান্য। ক্রেডিট রেটিং এর দিক থেকেও ইউনিয়ন ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং দীর্ঘ মেয়াদে ‘এ+' ।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের কোনো শাখায় চেক বাউন্স হয়নি। এটিএম বুথ, পিওএস মেশিনসহ ডিজিটাল কোনো লেনদেনও কখনো ডিক্লাইন হয়নি।

আমরা গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইউনিয়ন ব্যাংক ইসলামী শরিয়ার পূর্ণ অনুসরনের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা প্রদান, গ্রাহকের চাহিদা পুরণ এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অতীতের মত ভবিষ্যতেও এ সুরক্ষা দেয়ার বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো ধরণের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।

শেয়ারনিউজ, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর



রে