ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

লাগামহীনভাবে বাড়ছে দূর্বল ও ঝুকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার দর

২০২৩ নভেম্বর ২৩ ২৩:০৬:৫৮
লাগামহীনভাবে বাড়ছে দূর্বল ও ঝুকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার দর

নিজস্ব প্রতিবদেক : লাগামহীনভাবে বাড়ছে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দূর্বল ও ঝুকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার দর। প্রতিদিনই দর বৃদ্ধির তালিকায় অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে দূর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিগুলোকে। যেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগে মুনাফা তো দূরের কথা আসল পুঁজি ফেরত পাওযা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এরপরও কোন এক অদৃশ্য কারণে নিতান্তই দুর্বল ও ঝুকপূর্ণ কোম্পানিগুলোর দর লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের শেস কার্যদিবসেও (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিদিনের মতো আজও এই তালিকায় দূর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানির আধিপত্য বিস্তার করদে দেখা গেছে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দর বৃদ্ধির বা গেইনার তালিকায় অবস্থান করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯টি কোম্পানিই কোনো না কোনভাবে ঝুঁকিপুর্ণ।

কোম্পানিগুলো হলো- জিকিউ বলপেন, ন্যাশনাল ফিড মিল, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যাসিফিক ডেনিমস, ইয়াকিন পলিমার, ঢাকা ডাইং, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড।

ডিএসইর সূত্রানুযায়ী, তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে জিকিউ বলপেন। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৪ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৩০ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়া কোম্পানিটি স্বল্পমূলধনী কোম্পানি হওয়ায় শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি হওয়াটা খুব সহজ। তাই এ শেয়ারে বিনিয়োগ করে পুজি ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ২ নম্বরে অবস্থান করছে ন্যাশনাল ফিড মিল। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৮৬ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে মিরাকর ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৭৯ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৪২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৭৬ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ৪ নম্বরে অবস্থান করছে খান ব্রাদার্স পিপি ওয়েভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা বা ৮.৯৭ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৬৮ টাকায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯ পয়মা বা ৫.৫৯ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৩ পয়সা আয় দেখালেও কোম্পানিটির পিই রেশিও ১২৩.৩৩ পয়েন্ট, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৬.৮১ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৩২ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২৮ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা ডাইং। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯ পয়সা বা ৫.৫৯ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৭ টাকায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৩ পয়সা আয় দেখালেও কোম্পানিটির পিই রেশিও ১২৭৫ পয়েন্ট, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তালিকার শীর্ষে ৯ নম্বরে অবস্থান করছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৪.৯৭ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ২৫ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

অপরদিকে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মূলধনের তুলনায় লোকসান বেশি।

তালিকার ১০ নম্বরে অবস্থান করছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (২৩ নভেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ৪.৮ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি সমাপ্ত অর্থবছরের নিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিই রেশিও নেগেটিভ রয়েছে, যা বিনিয়োগ ঝুকি বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে কোম্পানিটি সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে