ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

নতুন মডেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন চায় আইএমএফ

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২২ ১৬:১২:৩৩
নতুন মডেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন চায় আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়াতে ব্যাংক, রাজস্ব ও শেয়ারবাজারের মোট ৪৭টি সংস্কার প্রস্তাবের পর এবার নতুন করে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুত করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়ে আইএমএফের ঢাকা সফররত ৪ সদস্যের কারিগরি সহায়তা (টিএ) বিষয়ক প্রতিনিধিদল এ প্রস্তাব তুলে ধরে।

আইএমএফের মতে, নতুন মডেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসন হবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতিও কমে আসবে। একই সঙ্গে অর্থনীতি হবে শক্তিশালী এবং তা নতুন গতি পাবে। বৈঠকে অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল প্রস্তুতের প্রস্তাবের অংশ হিসেবে প্রতিনিধিদল আইএমএফের পক্ষ থেকে ‘ইকোনমিক মডেল ফরকাস্টিং’ শীর্ষক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে।

এসময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আইএমএফের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন যে কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বৈঠক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে অর্থনৈতিক পূর্বাভাস মডেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গভর্নর তাদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

জানা গেছে, আইএমএফের উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রাম। সদ্য নির্মিত রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) এর অধীনে কীভাবে ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা যায় তার পূর্বাভাস মডেলের মাধ্যমে সতর্কতামূলক নীতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন। যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে দেবে।

এছাড়া এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। এটি সামগ্রিক অর্থনীতিকে টেকসই করবে এবং সংকট দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

গত ১৮ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে নীতি সুদহারের করিডোর প্রথা, সুদহারের সীমা প্রত্যাহার ও রিজার্ভের প্রকৃত হিসাবায়নসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করে সরকার। দাতা সংস্থাটি তখন ঋণের শর্ত হিসেবে ৪৭টি সংস্কারের প্রস্তাব করে। পর্যায়ক্রমে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাবে সরকার।

শেয়ারনিউজ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে