ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

ট্রেনের সামনে রেললাইনে শুয়ে পড়লেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১১ ০৯:৫৩:২৪
ট্রেনের সামনে রেললাইনে শুয়ে পড়লেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি, স্টেশনের আধুনিকায়ণ ও ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী র‌্যাক খালাসের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এক পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্টেশনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও নাগরিক কমিটির আয়োজনে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট এ কর্মসূচি পালিত হয়। এই মানববন্ধনে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের শত-শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বিক্ষোভকারীরা রেলস্টেশনে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন। ফলে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও নীলফামারী রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দাবিগুলোর বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ তুলে নেওয়া হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৫৩ সালে হিলি চেকপোস্ট ও ১৯৮৬ সালে হিলি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় হিলি রেলস্টেশন ব্যবহার করে পাসপোর্টযাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে আসছেন। এছাড়া প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফলে এখান থেকে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। এসব কারণে হিলি দেশের মধ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। কিন্তু তারপরেও হিলিবাসীসহ আশপাশের উপজেলার মানুষজন, ব্যবসায়ী, পাসপোর্টযাত্রী, রোগী, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হিলি রেলস্টেশনে ট্রেন না থামার কারণে নাগরিক সুবিধা ও গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শুধুমাত্র আসা-যাওয়ার পথে হিলি রেলস্টেশনে একমুখী আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ও লোকাল রকেট মেইল থামে; যা সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অন্তরায়। ২০১৮ সালে সংসদে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক হিলি রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

এ সময় রেলমন্ত্রী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও গত ৫ বছরেও হিলি রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং রেলস্টেশনের সুযোগ সুবিধা ও জনবল প্রত্যাহার করে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর রেলস্টেশনকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে; যা হিলিবাসীর মনে কষ্টের সঞ্চার হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

শেয়ারনিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে