নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!এই টানাপোড়েনের মাঝেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যিনি পর্দার আড়ালে এক 'গোপন মিশনে' নেমেছেন বলে দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর।

ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি মূলত শুরু হয় পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান ও রাশিয়ার কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জ্বালানি তেল কেনার পর। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর নতুন রপ্তানি শুল্ক চাপিয়ে দেয়, যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে, এবং ভারতের অর্থনীতিতে এর তীব্র প্রভাব পড়েছে।

এই টানাপোড়েনের সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি বিস্ময়কর পদক্ষেপ নেন। শুক্রবার এক গোপন বৈঠকে তিনি জানান,"নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প— উভয়েই আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমি চাইলে মোদিকে ট্রাম্পকে সামলানোর কৌশল গোপনে পরামর্শ দিতে পারি।"

এই "গোপন সহায়তা" ইসরায়েলের কেবল বন্ধুত্ব নয়, বরং কৌশলগত লাভও নিশ্চিত করতে পারে। কারণ, ভারতের সঙ্গে জোরদার সম্পর্ক বজায় রাখা ইসরায়েলের জন্য মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক কূটনীতিতে বড় হাতিয়ার হতে পারে।

নেতানিয়াহু আরও বলেন,"যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যে সমঝোতা কেবল তাদের নয়, আমাদের (ইসরায়েল) জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এখন সময় জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করার।"

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর কূটনৈতিক তৎপরতা বৈশ্বিক মঞ্চে নতুন করে ইসরায়েলকে সামনে আনতে পারে। তিনি যেন হয়ে উঠছেন ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে "কূটনৈতিক সেতুবন্ধনের স্থপতি"।

জাহিদ/