ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Sharenews24

তিন শেয়ারের দাম ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন: বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত

২০২৫ জুন ২৮ ১১:৩৪:০৩
তিন শেয়ারের দাম ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন: বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির শেয়ার দাম গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন তলানিতে নেমে এসেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারের লেনদেনে ফাস ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের দামে এমন রেকর্ড পতন ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎকন্ঠা তৈরি করেছে। কোম্পানিগুলোর দুর্বল আর্থিক পারফরম্যান্স এবং 'নো ডিভিডেন্ড' ঘোষণার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফাটল ধরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফাস ফাইন্যান্স

নন-ব্যাংক আর্থিক খাতের কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা, যা গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এর দাম ২ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে, যা এই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ফাস ফাইন্যান্স ২০১৮ সালে সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এরপর কোম্পানিটি আর কোনো ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। কোম্পানিটির রিজার্ভ এবং সম্পদমূল্যও বর্তমানে নেগেটিভ।

ন্যাশনাল ব্যাংক

ব্যাংক খাতের আলোচিত কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার ৩ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে, যা ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ব্যাংকটি সর্বশেষ ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এরপর কোম্পানিটি আর কোনো ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। কোম্পানিটির রিজার্ভ নেগেটিভ হলেও সম্পদমূল্য পজিটিভ ৭ টাকা ৩০ পয়সা। তবে বর্তমানে এটি ক্রমাগত লোকসানে চলছে।

এনআরবিসি ব্যাংক

ব্যাক খাতের নতুন প্রজন্মের কোম্পানি এনআরবিসি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শেয়ার মূল্য ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এটি ৫ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে, যা গত ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন।

ব্যাংকটি আগের বছর ২০২৩ সালে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তবে সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় 'নো ডিভিডেন্ড' ঘোষণা করেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারদামের তলানিতে নামা অনেক সময় বিনিয়োগের জন্য ভালো সুযোগ তৈরি করে। কারণ কম দামে শেয়ার কেনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে মুনাফা অর্জন সম্ভব।

বাজার সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, যদি এই কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় এবং পরিচালন দক্ষতা বাড়ায়, তাহলে বাজারে তাদের প্রতি আস্থা ফিরতে পারে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য আলোচ্য তিন কোম্পানির শেয়ারে সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে