নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটল ইসরায়েল। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দেশটি জানায়, তারা ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন কঠোর জবাবে পরিণত হবে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি সেনাবাহিনী (IDF), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে জানানো হয়, "অপারেশন রাইজিং লায়ন"-এর মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের সব কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করেছে।

ইসরায়েলের দাবি:

ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি সরিয়ে ফেলা হয়েছে

তেহরানের আকাশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে আইডিএফ

ইরানের কয়েক ডজন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে

একটি বিশিষ্ট পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন

শত শত নিপীড়নকারী নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে

বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানানো হয় ইরানবিরোধী অভিযানে সহায়তা ও কৌশলগত সমন্বয়ের জন্য। ইসরায়েল জানায়, এই যৌথ উদ্যোগই যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা তৈরি করেছে।

যদিও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তেলআবিব, তবে কোনো ধরনের লঙ্ঘনের জবাবে “কঠোর প্রতিক্রিয়া” জানানো হবে, এমন কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে ইরানকে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পারমাণবিক ব্যক্তিরা নিহত হন। পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইরানও চালায় মিসাইল হামলা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এই টানা পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলো।

মুসআব/