ঢাকা, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
Sharenews24

তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ, কর ছাড়ে স্বস্তি—বাজেটে ইতিবাচক বার্তা দেখছে সিএসইসই

২০২৫ জুন ০৩ ২২:৪৬:২৮
তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ, কর ছাড়ে স্বস্তি—বাজেটে ইতিবাচক বার্তা দেখছে সিএসইসই

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট শেয়ারবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

মঙ্গলবার (০৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, বাজেটে ঘোষিত নীতিগত প্রণোদনা, কর হ্রাস ও তালিকাভুক্তির উৎসাহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক হবে।

সিএসই জানায়, সোমবার (০২ জুন) উপস্থাপিত অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রথম বাজেটে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে তিনটি মূল প্রণোদনা এসেছে-

১. তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর ব্যবধান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫০ শতাংশ করা।

২. মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৫০ শতাংশ করা।

৩. লেনদেনে উৎসে কর ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ নির্ধারণ করা।

এসব উদ্যোগ ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী করবে এবং বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর করের বোঝা কমাবে বলে মনে করছে সিএসই।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১১ মে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পাঁচটি নির্দেশনা বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

যদিও এবার বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য সরাসরি কোনো নতুন প্রণোদনা আসেনি, তবুও ২০২৩ সালের একটি নির্দেশনার আওতায় তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনি আয় করমুক্ত রয়েছে। ৫০ লাখের ঊর্ধ্বে আয়েও করহার ১৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিও অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ফি ৭৫ শতাংশ কমানো এবং সুদের ২৫ শতাংশ ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ডে ব্যয়ের সিদ্ধান্তও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে সিএসই।

বাজেটের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দিক তুলে ধরে সিএসই জানিয়েছে—

শেয়ার হস্তান্তরে করমুক্ত দানের সুবিধায় ভাই-বোনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ট্রেজারি বিল-বন্ডে উৎস কর দ্বিগুণ হওয়ায় শেয়ারে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।

তবে স্পনসর বা পরিচালকদের শেয়ার হস্তান্তরে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় তারা হতাশ, যা পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

সিএসই আরও বলেছে, বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর পূর্ণ করমুক্তির প্রস্তাব থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সরাসরি উপকৃত হতেন। এছাড়া, আবাসন খাতের মতো শেয়ারবাজারেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে বাজারে গতি ফিরত।

এদিকে সম্প্রতি বিএসইসি “চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (কমোডিটি ডেরিভেটিভ) প্রবিধানমালা, ২০২৫” অনুমোদন করায় দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর পথ তৈরি হয়েছে। সিএসই আশা করছে, এর বিকাশে কর অবকাশ সুবিধা দেবে সরকার।

তবে বাজার উন্নয়নে সরকারের সদিচ্ছা ও উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সিএসই বলেছে, সংকট উত্তরণে কৌশলগত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে