ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিনিয়োগকারীদের মুখোমুখি হয়েই অপসারণের দাবি শুনলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

২০২৫ মে ৩০ ১৬:৫৫:৩৪
বিনিয়োগকারীদের মুখোমুখি হয়েই অপসারণের দাবি শুনলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে চলমান অস্থিরতার জন্য নেতৃত্বের দুর্বলতাকে দায়ী করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদের অপসারণ দাবি করেছেন বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর নেতারা।

বুধবার (২৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করা হয়। বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান নিজেও উপস্থিত ছিলেন। অংশ নেন বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছি। বর্তমান চেয়ারম্যান বাজার পরিচালনায় পুরোপুরি অদক্ষ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তার অপসারণের দাবি জানিয়েছি। তাকে পদচ্যুত না করলে বাজারে আস্থা ফিরবে না।”

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, খন্দকার রাশেদ মকসুদের মূলধন বাজার সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞানও নেই। তারা বলেন, এ ধারণা শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নয়—বাজারসংশ্লিষ্ট অনেক সাবেক চেয়ারম্যান ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররাও এই মত পোষণ করেন।

তারা আরও বলেন, প্রতিদিন বাজারে যেভাবে পুঁজি হারাচ্ছে, তা আর সহ্যসীমার মধ্যে নেই। এভাবে চলতে থাকলে শেয়ারবাজার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। এরই মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে এবং কর্মী ছাঁটাই বেড়েছে।

বিনিয়োগকারীরা জানান, বাজারের সব শ্রেণির বিনিয়োগকারী এখন নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষে একমত। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতীকী কফিন ও কাফনের কাপড় নিয়ে শোভাযাত্রাও করা হয়েছে, যাতে বাজারের সংকটের গভীরতা বোঝানো যায়।

সভায় বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে একটি দাবি-স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে ফোর্সড সেল বন্ধ করা, বাজারে তারল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির সুপারিশ রয়েছে।

বিএসইসি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাজারসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বাজারে মন্দা কাটাতে তাৎক্ষনিক করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বিএসইসি মুখপাত্র ও পরিচালক মো. আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, “ফোর্সড সেল নীতির কারণে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে—তারা তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। এ নিয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিনিয়োগকারীরা লিখিত বক্তব্য ও কিছু নথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর কাছে জমা দিয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে—৬১৭টি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ঘটনা, পেনশন ও জীবনবীমা তহবিলের বাজারে ব্যবহার, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির প্রস্তাব।

বৈঠকে বিএসইসির দুই কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী ও মো. আলী আকবরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

মিজান/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে