ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

জাপানে 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ' প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

২০২৪ মে ১১ ২২:৪৩:১৮
জাপানে 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ' প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানি যুবকদের মধ্যে বিয়ের প্রবণতা কমছে, বর্তমানে এই বিষয়টা সবাই অবগত আছে। তবে নতুন খবর হলো এশিয়ার এই দেশে নতুন ধরনের সম্পর্ক জনপ্রিয় হচ্ছে। ইংরেজিতে একে বলে 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ'। দেশের তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, এই সম্পর্কের সাথে জড়িতরা প্রেমে না পড়ে বা যৌন সম্পর্ক না করেই প্লেটোনিক পার্টনার হয়ে উঠছে। জাপানের জনসংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন। তাদের মধ্যে প্রায় এক শতাংশ এমন সম্পর্ক বেছে নিচ্ছেন। অর্থাৎ এমন সম্পর্কে জড়ানোর সংখ্যা হাজার হাজার। তারা সাধারণ মূল্যবোধ এবং স্বার্থের উপর বন্ধন করে। এর মধ্যে রয়েছে অযৌন সম্পর্ক, সমকামিতা, বহুবিবাহ।

দেশটিতে বর্তমানে একটি এজেন্সি রয়েছে যা এই বিষয়ে বিশেষীকরণ করে তা হল কালারাস। তারা এই নতুন প্রবণতা সম্পর্কে ডেটা ভাগ করেছে।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে জাপানে ৫০০ জন এই ধরনের বিয়েতে যোগ দিয়েছেন। তাদের বসতি আছে। এমনকি কিছু সম্পর্ক সন্তানকে বড় করছে।

ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ আসলে কী?

ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হচ্ছে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে অংশীদাররা আইনগতভাবে দম্পতি। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও রোমান্টিক ভালোবাসা বা যৌন সম্পর্ক নেই। তারা একসঙ্গে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে পারেন। কৃত্রিম পদ্ধতিতে দম্পতিরা সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।

এই সম্পর্কে লিপ্ত দু’জন ব্যক্তি অবাধে অন্যদের সঙ্গে বিয়ে বাদে সম্পর্ক গড়তে পারেন। কারণ, এ বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতার চুক্তি থাকে।

তিন বছর ধরে এমন সম্পর্কে লিপ্ত আছেন এমন একজন বলেছেন, ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হল- এমন একটি ব্যবস্থা যেমন একই স্বার্থে একজন রুমমেট খুঁজে নেওয়া। আমি কারও গার্লফ্রেন্ড হতে চাই না। কিন্তু আমি একজন ভালো বন্ধু হতে চাই। আমি এমন একজনকে চাই, যার সঙ্গে একই আনন্দ ভাগ করতে পারব। চ্যাট করতে পারব। হাসি-তামাশা করতে পারব।

ফ্রেন্ডলি ম্যারিজ কীভাবে কাজ করে? এই অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রথাগত রোমান্টিক ভালোবাসা বা একজন বেস্টফ্রেন্ডকে বিয়ে করা নয়। পক্ষান্তরে এই ব্যবস্থার অধীনে দম্পতিরা বিয়ের আগে দেখা-সাক্ষাৎ করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন দিন তাদের জীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

যেমন- তারা একসঙ্গে খাবার খেতে চায় কি না। কীভাবে তারা খরচ করবে। কে কাপড় লন্ড্রি করবে। কীভাবে রেফ্রিজারেটরের জন্য জায়গা বের করবে।

কালারাস বলেছে, এই সম্পর্ক রোমান্টিক না হলেও শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ এই সম্পর্কের দম্পতিরা একসঙ্গে সুখেই বসবাস করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কিছু দম্পতির একসঙ্গে সন্তানও আছে।

কারা বেছে নিচ্ছেন এই প্রথা?

এই রীতিতে যারা আগ্রহী তাদের গড় বয়স ৩২.৫ বছর। জাতীয় গড়ের চেয়ে তাদের আয় বেশি। অযৌন সম্পর্কে লিপ্ত এবং সমকামিতায় লিপ্ত ব্যক্তিরাও এ সম্পর্কে জড়িত হচ্ছেন। তারা প্রচলিত বিয়ে থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

অনেক সমকামী আছেন, যারা প্রচলিত বিয়ে বা ভালোবাসার সম্পর্ক পছন্দ করেন না। তারা সামাজিক চাপে থাকেন। ফলে তারাও এখন এই প্রবণতাকে আলিঙ্গন করছেন। যদিও এই সম্পর্কের ইতি হচ্ছে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে, তবে সুবিধা হল তারা পলিসি সুবিধা পাচ্ছে।

শেয়ারনিউজ, ১১ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে