ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার আসামী পালিয়েছিলেন সৌদি আরবে

২০২৪ এপ্রিল ০৯ ২৩:০৯:০১
হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার আসামী পালিয়েছিলেন সৌদি আরবে

নিজস্ব প্রতিবেদক :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু হামলার পরপরই সৌদি আরবে পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এসএম রুহুল আমিন এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলায় সাবু সরাসরি অংশ নিয়েছিল। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করলে তিনি দেশের বাইরে চলে যান। তিনি প্রায় ২০ বছর সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলা একাডেমি থেকে বেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে টিএসসির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন বহুমাত্রিক লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ।

কয়েক মাস চিকিৎসার পর ওই বছরের আগস্টে লেখক গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান। পরে ১২ আগস্ট মিউনিখে তার ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

হামলার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মনজুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্তের পর তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

সেই মামলার রায়ে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল চার জঙ্গির ফাঁসির আদেশ আসে। জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীম তাদেরই একজন। শুরু থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

বারিধারা এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান রুহুল আমিন বলেন, সাবু জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমানের কাছে বায়াত গ্রহণ করে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হন। আর তাকে সংগঠনে দাওয়াত দিয়েছিলেন জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি।

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ উপন্যাসটির কারণে ক্ষুব্ধ হয়েই জেএমবি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল মন্তব্য করে রুহুল আমিন বলেন, ‘২০০৪ সালে জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমানের নির্দেশে জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, সালাউদ্দিন সালেহিন, হাফেজ শহিদসহ অন্যদের সঙ্গে সাবু সরাসরি হামলায় অংশ নেন।’

এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ ও সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ।

শেয়ারনিউজ, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে