ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

প্রথমবারের মতো ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করেছে রেনাটা

২০২৪ এপ্রিল ০৯ ০৬:০৯:৪৮
প্রথমবারের মতো ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করেছে রেনাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত ওষুধ প্রথমবারের মতো রফতানি করেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোম্পানিটি ওষুধ রফতানি করলেও সেটি ছিল অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে উৎপাদিত ওষুধ। স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত ০৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ১ কোটি ২৮ লাখ মেটোপ্রলল টারট্রেট ট্যাবলেট রফতানি করেছে রেনাটা। কোম্পানিটির গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ অনুমোদিত কারখানায় উৎপাদিত এই ওষুধ প্রথমবারের মতো দেশটির বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে ফ্রোভাট্রিপটান এবং ২০২৩ সালে মেটোলাজোন ওষুধ রেনাটা যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করলেও সেগুলো অন্য কারখানায় চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন করা ওষুধ ছিল।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেনাটার আয় বেড়েছে ১৬.৬৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৫৯৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৮৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ২১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে রেনাটার পর্ষদ। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা, আগের অর্থবছরে যা ছিল ৪৪ টাকা ৫৬ পয়সা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৮৭ পয়সায়।

১৯৭৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রেনাটা পিএলসি ১৯৭২ সালে মার্কিন ওষুধ জায়ান্ট ফাইজারের একটি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে। ১৯৯৩ সালে ফাইজার স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তাদের মালিকানা বিক্রি করে চলে যায় এবং কোম্পানির নাম ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বদলে হয় রেনাটা লিমিটেড। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোম্পানিটির ওষুধ রফতানি হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৯১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯১টি। এর মধ্যে ৫১.২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৯.৯১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২২.৪১ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬.৩৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে