ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার টাকা কর

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১২:১৬:০০
চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার টাকা কর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি করপোরেশন এলাকার বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এক্ষেত্রে বিয়ের কর নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসসিসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদর্শ কর তফসিলের আওতায় প্রথম বিয়ে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে কর ১০০ টাকা; প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা; প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে কর ২০ হাজার টাকা; প্রথম তিন স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা।

তবে প্রথম স্ত্রী যদি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা বন্ধ্যা হয় তাহলে পরবর্তী বিয়ের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা কর দিতে হবে।

আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৮২ নম্বর ধারার ৪র্থ তফসিলের ৮ নম্বর ক্রমিকে অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ এর ১০(৪) এর ১৫২ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত হারে এই কর আদায় করা হবে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ সকলের কাছে অপ্রত্যাশিত একটি বিষয়। কিন্তু তারপরও বাস্তবতার নিরিখে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে। বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত তথ্যাদি করপোরেশনে আসলেও বিবাহ নিবন্ধন সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক।

তিনি বলেন, এ ছাড়াও বিবাহ সংক্রান্ত তথ্য থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অনেক সময় তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি অনেক সময় আদালত ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়। ফলে আমাদের এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সামষ্টিকভাবে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে।

শৃঙ্খলা আনয়নে এই কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অনেক সময় কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশান নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। তাছাড়া বিদেশগামী যাত্রীদের ও বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিবাহ নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ রকম বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যাদির গুরুত্ব অপরিসীম।

এ ছাড়াও অনেক সময় বিদেশি দূতাবাসসমূহের বিবাহ সংক্রান্ত তথ্যাদির প্রয়োজন হয়। তাই বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম লিপিবদ্ধ থাকলে তারাও সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে এ তথ্য পেতে পারে। সুতরাং শৃঙ্খলা আনয়নে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

ডিএসসিসি এ লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলে মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৩ মার্চ আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬ এর ১০(৪) এর ১৫২ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত কর আদায়ে একটি পত্র পাঠায়। এরপর গত বছরের ৬ জুন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ঢাকা বিভাগীয় রেজিস্ট্রার, ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, করপোরেশন এলাকার কাজীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসসিসি জানিয়েছে, করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড গত জানুয়ারিতে ২৮টি বিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রমের জন্য ২ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বর্তমানে এ কার্যক্রম ম্যানুয়ালি পরিচালনা করা হলেও শিগগিরই তা অনলাইনে নিয়ে আসতে করপোরেশন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ কাজ বাস্তবায়ন হলে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও বিবাহ নিবন্ধন কর পরিশোধ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে