পাঁচ কারণে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন

শেয়ারনিউজ ডেস্ক : প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। বর্তমানে অর্থনীতির এক হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। যার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ আসে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই থেকে।
কিন্তু এফডিআই বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও দিনে দিনে কমছে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ। দুই বছর আগেও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ায় তা বেশ ভালো প্রভাব রেখেছিল দেশের অর্থনীতিতে।
কিন্তু হঠাৎ করে তা কেন কমছে, এই নিয়ে নানা ধরণের বিশ্লেষণ পাওয়া যাচ্ছে অর্থনীতিবিদ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে।
বিবিসি বাংলা গত দশ বছরের বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। এই নিয়ে কথা বলেছে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা, অর্থনীতিবিদ ও সরকারের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে।
অর্থনীতিবিদরা এই বৈদেশিক বিনিয়োগ কমার কারণ হিসেবে অনেকগুলো কারণ তুলে ধরেছেন। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ডলার সংকট, অর্থ পাচার ও দুর্নীতি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা, সেবা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি ও জ্বালানি সংকটের মতো বিষয়গুলোকে মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন।
তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ও বর্তমান দুইজন মন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেই কিছুটা কমেছে বৈদেশিক বিনিয়োগ।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে নিয়ে আসা অর্থ সংক্রান্ত জরিপ প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ এই জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ হয় গত ডিসেম্বরের শুরুতে।
রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিলো ৩২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অথচ আগের বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই পরিমাণ ছিলো ৩৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। হিসাব বলছে, বছর ব্যবধানে নিট এফডিআই প্রবাহ কমেছে ৫.৫২ শতাংশ।
রিপোর্টে বলা হয়, নিট প্রবাহের এই চিত্রের বিপরীতে বিদেশি নতুন বিনিয়োগকারীরা এই অর্থ বছরে নতুন মূলধন এনেছে অনেক কম। ২০২১-২২ অর্থ বছরে নতুন মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা হলেও গত অর্থ বছরে তা কমে দাড়ায় ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ডলারে। এ হিসেবে নতুন বিদেশি মূলধনি বিনিয়োগ কমেছে ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আঙ্কটাডের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে এফডিআইয়ের প্রবাহ ছিলো ২৫৬ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে ২২৩ কোটি, ২০১৬ সালে ২৩৩ কোটি, ২০১৭ সালে ২১৫ কোটি, ২০১৮ সালে ৩৬১ কোটি, ২০১৯ সালে ২৮৭ কোটি, ২০২০ সালে ২৫৬ কোটি, ২০২১ সালে ২৮৯ কোটি। আবার ২০২২ সালে রেকর্ড ৩৪৮ কোটি ডলার আসলেও ২০২৩-এ এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেট অনেক বেড়ে গেছে বিভিন্ন দেশে। ফলে ক্যাপিটালের যে ফ্লো থাকে তা স্বাভাবিকভাবে যে সমস্ত দেশে ইন্টারেস্ট রেট বেশি, সে সমস্ত দেশে ফ্লো করে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে হলে তাকে দুটা ফ্যাক্টর কনসিডার করতে হয়। তার একটা হলো একচেঞ্জ রেট রিস্ক, আরেকটা হলো ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক। যে কারণে ক্যাপিটালগুলো উন্নত দেশের যেখানে এক্সচেঞ্জ রেটের কোনও রিস্ক নেই সেখানে এই মুদ্রাগুলো চলে যায়।
বিদেশি বিনিয়োগ কেন কমছে, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি প্রধান পাঁচটি কারণ খুঁজে পেয়েছে তা একে একে তুলে ধরা হল।
ডলার সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি
গত দুই বছরের টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য বেড়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। বর্তমানে সরকারি হিসাবে মূল্য ১১০-১১১ টাকা, কোথাও কোথাও তা নেওয়া হচ্ছে আরও অনেক বেশি।
সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকটের কারণে এদেশে বিনিয়োগকারী অনেক বিদেশি কোম্পানি নিজ দেশে মুনাফা নিতে পারেনি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ কমার অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের সংকট ও মূল্য ওঠানামা করা। বিনিয়োগকারীরা সবার আগে রিটার্ন নিয়ে চিন্তা করেন। যখন তারা পদ্ধতিগত সমস্যা দেখতে পান তখন তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হন না।
বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ডলারের সংকটের কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টাকাও আটকে গিয়েছিল। ব্যাংকগুলো বলেছে তাদের কাছে ডলার নাই। এই বিষয়গুলো বিভিন্ন দেশ দেখে নতুন করে হয়তো আর বিনিয়োগে আগ্রহী হয়নি।
দেশে ডলারের এই সংকট কাটাতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রিজার্ভ থেকে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন বিক্রি হয়েছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বৈদেশিক বিনিয়োগ বেশি এলে ফাইনান্সিয়াল একাউন্টটাও আমাদের বেটার হয়। যেটা আমাদের ১৫-১৬ বিলিয়ন ডলার পজেটিভ ছিলো সেটা আমাদের নেগেটিভ হয়ে গেছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, হয়তো আমরা কমফোর্ট জোনে নাই। তবে, আমাদের ডলার সংকট নাই।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নতুন মুদ্রানীতির মাধ্যমে সুদের হার বাড়িয়ে ডলার সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু এটা দিয়ে ডলার সংকট কাটানো যাবে না। বাজার ভিত্তিক মুদ্রা হারের ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে ডলারের যোগান বাড়ানো কঠিন হবে।
অর্থ পাচার ও দুর্নীতি
ওয়াশিনটনভিত্তিক সংস্থা জিএফআইয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশ থেকে অর্থ পাচার হলে বাণিজ্য গতিশীলতা কমে।
ঘাটতি কমাতে কখনও কখনও বাড়তি কর আদায় করতে হয়। অর্থ সংকটের কারণে সামগ্রিক অর্থনীতির আয়-ব্যয়ের এক ধরনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেখা যাচ্ছে তাদের টাকা পাঠাতে দেরি হচ্ছে। কারণ পাচার-সহ নানা কারণে ফরেন কারেন্সির রিজার্ভটা কমে যাচ্ছে। এটা এক ধরণের রং সিগন্যাল দিচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবে আর্থিক খাত নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা বরাবরই ছিলো। এটা আরও বেড়েছে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা
গত বছরের শেষে বিদেশি বিনিয়োগ কমার মূল কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে চিহ্নিত করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, গত বছরের শেষ দিকে বিএনপি জোটের টানা আন্দোলন কর্মসূচি, সংঘাত সংঘর্ষের প্রভাব বিদেশি বিনিয়োগে পড়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, গত বছর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা একটা বড় বিষয় ছিলো। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনেকে একটা দোটানায় ছিল ইলেকশন হবে কি হবে না। এ কারণে নতুন করে অনেকেই বিনিয়োগে আগ্রহী হননি।
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নির্বাচন নিয়ে এক ধরণের অনিশ্চয়তায় অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কিছুটা টানাপোড়েন ছিলো। একটি রাজনৈতিক দল অর্থনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ভীষণভাবে চেষ্টা করেছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মাঝে এক ধরনের নেতিবাচক বার্তা গেছে।
বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমার বিষয়টা খুবই নরমাল। নির্বাচনের আগে বিদেশি বিনিয়োগ একটু স্লো ডাউন হয়। নির্বাচনের পর এখন বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের ওপর আবার আস্থা রাখছে।
অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো দেশের অর্থনীতি। কিন্তু গত দু বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানা সংকট দেখা যাচ্ছে।
অর্থনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি-সহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিকবাচক প্রভাব পড়ছে।
বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আর্থিক খাত নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা বরাবরই ছিলো, সম্প্রতি এটা আরও বেড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীর শুনেছে যে বাংলাদেশে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড তার বিল পরিশোধ করতে পারছে না। ডলারে যে বিলগুলো দেওয়ার কথা সেটা পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকাররা অনেক সময় এলসি খুলে সময় মতো এলসি সেটল করতে পারেন নাই। আন্তর্জাতিক বাজারে সে খবরও পৌঁছেছে। এসব কারণে ধারণা তৈরি হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভ হলেও সে টাকা তুলে আনতে পারবে না। এমন পরিস্থিতির কারণে তারা স্থিতিশীলতার অপেক্ষা করছে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, সামষ্টিক অর্থনীতিই যতক্ষণ পর্যন্ত না স্থিতিশীল হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কমে না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা একটু অপেক্ষা করবে বলেই মনে হচ্ছে।
সেবার মান ও জ্বালানি সংকট
বাংলাদেশে যে সব খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসছে তার মধ্যে অন্যতম হলো টেক্সটাইল, চামড়াজাত সামগ্রী , পাট, কৃষিভিত্তিক শিল্প ইত্যাদি। বিদেশিদের বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বেশ কিছু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এ সব জায়গায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি করা যাচ্ছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পর নিষ্কণ্টক জমি নিয়ে যে বাধা ছিলো সেটা কাটানো গেছে। কিন্তু ওয়ান স্টপ সার্ভিস, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবারহ সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ কারণে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ পাওয়া যাচ্ছে না।
এসব খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার পেছনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও কাজ করছে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, অর্থনীতির দিক থেকে ভারত, ভিয়েতনাম, চীন কিংবা বাংলাদেশের সমতুল্য দেশগুলোতে যে পরিমাণ এফডিআই আসে সে তুলনায় বাংলাদেশে এফডিআই খুবই নগণ্য।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সরকার যদিও অনেক কাজ করার কথা বলেছে। জমির ঝামেলা মেটানো, গ্যাস বিদ্যুৎ পানি এইসব আমরা দিয়ে দিব এক জায়গায় - এ ধরনের অনেক কথাবার্তা হয়েছে। তবে বাস্তবে অনেক সুযোগই নিশ্চিত করা যায়নি। যে সব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি, সে সব অঞ্চলে যদি বিনিয়োগের পুরোপুরি পরিবেশ নিশ্চিত করা যেত তাহলে হয়তো বিদেশি বিনিয়োগে কিছুটা পরিবর্তন আনা সম্ভব হত। কিন্তু সেটি হয়নি।
তবে, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, আইসিটি, বস্ত্র-সহ বেশ কিছু খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুযোগ আছে। আমাদের দেশের এফডিআইয়ের সুযোগ সুবিধার দিক থেকে শতভাগ রয়েছে। আমাদের দেশে এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে দেখা যায় যে সে সব দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেশ বড় ধরনের প্রভাব রাখছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
বাংলাদেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে সব সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু সে সব উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসছে না। এ জন্য বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক খাতে বড়সড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে বলছেন, সংকট কাটাতে এর কোনও বিকল্প নেই।
শেয়ারনিউজ, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
পাঠকের মতামত:
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে এক কোম্পানি ও চার মিউচুয়াল ফান্ড
- বাতিল হচ্ছে নাগরিকত্ব, ভারতীয় মুসলিমরা অস্তিত্ব সংকটে
- আশরাফ টেক্সটাইলের ৭২ কোটি টাকা আত্মসাত: বিএসইসি’র তদন্ত
- প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দুই প্রান্তিকে লোকসান কমেছে
- খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য ১২৫৩ আবেদন
- সাবেক হুইপ স্বপন ও পরিবারের ৬২ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
- শাহজালাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাতুজ জুম্মা কারাগারে
- মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন গ্রেফতার
- বিদেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ শনাক্ত
- মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে আগুন
- ঢাকা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ: জানা গেল নেপথ্য কারণ
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাল তালিকায় ২০ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- ১২ বছর পর দর্শকের আবেগে ধাক্কা দিলেন দেব-শুভশ্রী
- সাড়ে সাত মাসে বিনিয়োগকারীদের ৪৩ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি
- প্রশাসনিক পদে বড় রদবদল
- এইচএসি সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত শুরু
- পাতাল রেল নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিল কর্তৃপক্ষ
- হাসনাত আব্দুল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র
- ফারুকীর শারীরিক অবস্থা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি
- কোনো রেমিট্যান্স আসেনি ৮ ব্যাংকে
- ডেল্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- কাল লেনদেনে ফিরবে ২ কোম্পানি
- পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি
- ইনুর সঙ্গে হাসিনার গোপন ফোনালাপ ফাঁস
- সেই রিকশাচালককে নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে রিজওয়ানার ব্যাখ্যা
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন তিনগুণ
- টানা পতনের পর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক রূপান্তর শুরু
- ১৭ আগস্ট ব্লকে চার কোম্পানির বড় লেনদেন
- ১৭ আগস্ট লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৭ আগস্ট দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৭ আগস্ট দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- খেলাপি থেকে রেহাই পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি ঋণগ্রহীতা
- ২০২৬ সালে চালু হবে বেস্ট হোল্ডিংসের ম্যারিয়ট ভালুকা
- মার্কিন দূতাবাসের কড়া সতর্কবার্তা
- এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড
- সাংবাদিক ইলিয়াসের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলো আইএসপিআর
- সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে?
- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত
- মাইন্ডসেট নিয়ে যা বললেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী
- দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
- নাহিদ ইসলামকে কাদের সিদ্দিকীর সরাসরি চ্যালেঞ্জ
- সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন
- বিয়ের আগেই ‘ডিভোর্স চুক্তি’ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর
- দুর্বল ব্যাংক ধুঁকছে, ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত
- স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সন্তানসহ দুধ দিয়ে গোসল যা জানা গেল
- ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত, শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা
- রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও অপসারণ প্রক্রিয়ায় যা বলা আছে
- ধেয়ে আসছে ভয়াবহ হ্যারিকেন, ঘন্টায় গতি ২৬০ কিমি
- যেসব ভুলে কড়া ডায়েটেও কমছে না ওজন
- আপনার ট্যাক্স ফাইল কি অডিটে? দেখুন এনবিআরের নতুন তালিকা
- সেই চীনা নাগরিকের বিষয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- ফ্লোর প্রাইসের উপরে লেনদেন হলো বেক্সিমকোর শেয়ার
- ৬ ব্যাংকের ফরেনসিক নিরীক্ষার প্রস্তাব বাতিল করল সরকার
- এএফপি’র অনুসন্ধান: ৫ আগস্ট কোথায় ছিলেন পিটার হাস?
- সামিট পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- ২০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ কোম্পানির শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ব্লকচেইন— স্বচ্ছতা ফেরানোর নতুন দিগন্ত
- দুই শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বছরের সর্বনিম্ন দামে ৮ কোম্পানির শেয়ার
- আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের যাত্রা শুরু
- পতনের স্রোতেও তিন শেয়ারের বড় টান
- ভূমি সেবায় চমকপ্রদ পরিবর্তন আসছে
- শেয়ারদর ১০৫% বৃদ্ধির পর রহিমা ফুডের কাজু বাদাম প্ল্যান্ট বন্ধ
শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে এক কোম্পানি ও চার মিউচুয়াল ফান্ড
- আশরাফ টেক্সটাইলের ৭২ কোটি টাকা আত্মসাত: বিএসইসি’র তদন্ত
- প্রিমিয়ার লিজিংয়ের দুই প্রান্তিকে লোকসান কমেছে
- খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য ১২৫৩ আবেদন