ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

কবে নড়াচড়া করতে পারবে সেই সাত কোম্পানি!

২০২৪ জানুয়ারি ১৯ ০৭:৫৮:১৭
কবে নড়াচড়া করতে পারবে সেই সাত কোম্পানি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস যুগের শুরু হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। কভিড সংক্রমণের প্রভাবে শেয়ারবাজারে দরপতন তীব্র হয়ে উঠলে তা ঠেকাতে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১৭ জুন ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা শুরু হলে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এর পাঁচ মাসের মাথায় ১৬৯টি কোম্পানির ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। যদিও এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমতে শুরু করলে দুই মাস পরই গত বছরের ১ মার্চ আবারো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।

শেয়ারবাজারের কয়েকটি সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ৩৫টি বড় মূলধনী কোম্পানি বাদে বাকি সব কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএসইসি। যদিও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইস রাখার পক্ষে অনড় ছিলেন।

এদিকে, ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর থেকে বাজার মূলধনি শীর্ষ ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাকি ৩টি কোম্পানি মাঝে মধ্যে ফ্লোর প্রাইস থেকে বাইরে এসে কিছু দৌড়ঝাপ করে ফের ফ্লোর প্রাইসে বিশ্রাম নেয়।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত রোববারের শেয়ারদরের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০টি বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি), রবি আজিয়াটা লিমিটেড, রেনাটা লিমিটেড, ইনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল) ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের শেয়ারদর এক বছরের বেশি সময় ধরে ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে।

শীর্ষ বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক বছরের মধ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর মাঝে মধ্যে ফ্লোর প্রাইস থেকে ওপরে উঠে কিছু উঁকিঝুকি দেয়। তবে খুব দুর যেতে পারে না।

শীর্ষ বাজার মূলধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা বাজার মূলধনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় স্থির রয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের বাজার মূলধন ৩১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক বছরের বেশি সময় ধরে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় স্থির রয়েছে।

তামাক খাতের বহুজাতিক জায়ান্ট বিএটিবিসির বাজার মূলধন ২৮ হাজার ৯ কোটি টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা।

টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটার বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩০ টাকা।

ওষুধ খাতের কোম্পানি রেনাটার বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক বছরের বেশি সময় ধরে ১ হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সায় স্থির রয়েছে।

বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ারের বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।

বেক্সিমকো গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের বাজার মূলধন ১০ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় স্থির রয়েছে।

এদিকে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বাজার মূলধন ১৮ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২১৩ টাকা ৩০ থেকে ২০৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে যৎসামান্য ওঠানামা করেছে।

অন্যদিকে, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের বাজার মূলধন ৮ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ হাজার ৯০৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ হাজার ৭১২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

অপরদিকে, সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের বাজার মূলধন ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭২ টাকা থেকে ৬৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

দুই কোম্পানির শেয়ারদর বিষয়ে সতর্কবার্তা

শেয়ারনিউজ, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে