ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে খেলাপি প্রার্থী খোঁজার নির্দেশ

২০২৩ ডিসেম্বর ০১ ১১:৩৩:৪৫
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে খেলাপি প্রার্থী খোঁজার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ঋণ খেলাপি আছে কি- না, তা যাচাই করে দেখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আইন অনুযায়ী ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ খেলাপি হলে ছাড় দেয়া আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায়, রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, পত্রিকা ও অন্যান্য উৎস থেকে ব্যাংকের উদ্যোগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ব্যক্তিদের তালিকা সংগ্রহ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঋণ খেলাপিদের হালনাগাদ তালিকা তৈরি করে তার সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ব্যক্তিদের নামের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে আলাদা দুই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

‘গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর ১২ অনুচ্ছেদ এর ধারা- ১ অনুযায়ী, ‘কোন ব্যক্তি কৃষি কাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ ব্যতীত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখের র্পূবে কোনো ব্যাংক হইতে গৃহীত কোনো ঋণ বা ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হইয়া থাকিলে, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হইবেন’।

একই অনুচ্ছেদের ধারা-১ এর উপ-ধারা(এম) অনুযায়ী, ‘কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোন কোম্পানির পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার হন যা কোনো ব্যাংক হইতে গৃহীত কোনো ঋণ বা ঋণের কোনো কিস্তি তাহার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখের র্পূবে পরিশোধে খেলাপি হইলে, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হইবেন।’

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারী রোববার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক/বিশেষায়িত ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরপরই রিটার্নিং অফিসারের নিকট হইতে প্রার্থীদের (পিতা /মাতা /স্বামীর নাম ও ঠিকানাসহ) তালিকা সংগ্রহ করিবেন এবং প্রার্থীদের ঋণ খেলাপি সম্পর্কিত তথ্য প্রধান কার্যালয়ে জানাবেন। শাখা ব্যবস্থাপক/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অথবা অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকার সহিত শাখাসমূহে হালনাগাদকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার তালিকা মিলাইয়া দেখিবেন এবং তাহার শাখাভূক্ত কোনো ঋণ খেলাপি প্রার্থী হইয়াছেন কিনা উহা নিশ্চিত হইবেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের পরপরই রিটার্নিং অফিসারের নিকট হইতে প্রার্থীদের (পিতা/মাতা/স্বামীর নাম ও ঠিকানাসহ) তালিকা সংগ্রহ করে প্রধান কার্যালয়ে বিশেষভাবে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

কোনো খেলাপি মনোনয়নপত্র জমা দিলে তা দ্রুত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট পাঠাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/বিশেষায়িত ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ঋণ খেলাপির তথ্য ও কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

খেলাপি সংক্রান্ত সকল তথ্যর দায় সংশ্লিষ্ঠ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের কর্মকর্তাকে বহন করতে হবে। তথ্য ভুল বা তথ্য উপস্থাপনে ব্যর্থতা হলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন থেকে বাছাই সম্পৃর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি ছুটির দিনেও রিটার্নিং অফিসার বা নিজ দপ্তরে উপস্থিত থেকে সহায়তা করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকায়, খেলাপির হার ৯.৯৩ শতাংশ।

শেয়ারনিউজ, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে