গাজা নিয়ে গোপন ফন্দি আঁটছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ ১৪তম দিনে গড়িয়েছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত বোমা হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু সরকার গাজা সীমান্তে হাজার হাজার সেনা ও অস্ত্র জড়ো করেছে। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের স্থল হামলার পর গাজার ভাগ্যে কী হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।
এরই মধ্যে গোপনে গাজার বর্তমান ক্ষমতাসীন হামাসকে উৎখাতের পর গাজাবাসীর ভাগ্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে এই যুদ্ধের অন্যতম কুশীলব ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে জাতিসংঘের সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার বসানো এবং এর সঙ্গে অন্যান্য আরব দেশের সরকারকে সম্পৃক্ত করার সম্ভাবনা যাচাই করছে তারা। যদিও মার্কিন-ইসরায়েলি এ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরবদের সম্পৃক্ত করা বেশ চ্যালেঞ্জ হবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এই আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সামনে আরও অনেক কিছু হবে। ইসরায়েলি স্থল অভিযানের সফলতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আরবদের সম্পৃক্ত করার বিষয় আছে, যা এখনো নিশ্চত নয়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার বলে আসছেন, তাদের গাজা দখলের কোনো ইচ্ছে নেই। তবে ৭ অক্টোবরের হামলার পর সেখানে হামাসের শাসন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১৪০০ ইসরায়েলি এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে হামাস। স্থল অভিযানের পরে কী হবে, তা নিয়ে ইসরায়েল এখনো যুক্তরাষ্ট্রকে তেমন তথ্য দেয়নি। হামাসকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাড়া আর কোনো সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য না থাকায় এই যুদ্ধ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলেও উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে এ বিষয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ৯/১১-এর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যে ভুল করেছিল ইসরায়েলও একই ধরনের ভুল করতে পারে। ৯/১১-এর হামলার পর আমেরিকা আফগানিস্তান ও ইরাক পাল্টা আক্রমণ করে। সেই হামলায় আল কায়েদাকে দুর্বল করতে পারলেও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে হাজার হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারায়। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গাজায় দ্রুত ত্রাণসহায়তা পাঠানোয় যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। একই সময়ে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের পর গাজাবাসীর ভাগ্য কী হবে, তা আমেরিকান কর্মকর্তাদের বড় উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে থাকে।
তবে এই মুর্হূতে উত্তর গাজা থেকে আরও মানুষ সরিয়ে নিতে এবং কাতারের মধ্যস্থতায় আরও জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান নিয়ে কালক্ষেপণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। এরই মধ্যে গত শুক্রবার কাতারের মধ্যস্থতায় দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক সিনিয়র বিশ্লেষক উইলিয়াম উশার বলেছেন, গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হবে। এ বিষয়ে আরব সরকারগুলোর সায় পাওয়া আরও বেশি চ্যালেঞ্জ হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাসের কাছে পরাজিত হয়ে গাজা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তবে সিআইএর সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা টেড সিঙ্গার বলছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হামাসের কার্যকর বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারবে না। অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জর্ডান ও লেবাননের মতো দেশে থাকা ফিলিস্তিনি প্রবাসীদের শাসন করে থাকে মাহমুদ আব্বাসের এই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে গত রোববার বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ এমন প্রতিনিধি পাওয়ার যোগ্য যারা তাদের শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে দেবে।
শেয়ারনিউজ, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
পাঠকের মতামত:
- প্রায় ৬৩ লাখ শেয়ার বণ্টন সম্পন্ন করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- বাবরির জবাবে গীতা পাঠ, তার জবাবে কোরআন তিলাওয়াত
- ট্রাইব্যুনালে হাজির হেভিওয়েট মন্ত্রীরা: হাসিমুখে শাজাহান
- ভারতীয়দের জন্য মার্কিন ভিসায় নতুন কড়া বিধিনিষেধ
- পদোন্নতি নিয়ে দুঃসংবাদ: আইনি জটিলতায় হাজারো শিক্ষক বিপাকে
- হারানো সিম বন্ধ না করলে বড় বিপদ!
- ‘মাইনাস ফোর’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন রুমিন ফারহানা
- চাকরিজীবীদের পে–স্কেল নিয়ে বড় আপডেট
- দুই কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু
- লেনদেনে ফিরেছে ৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য জানালো অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
- বিডি থাই এলুমিনিয়ামের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ৮৩ বার পরিবর্তন—এবার স্বর্ণের দামে বড় চমক
- শীতে পিরিয়ডের সময় যে ফলগুলো খাবেন না
- জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজলের বিরুদ্ধে বোনদের গুরুতর অভিযোগ
- ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- শীর্ষ ৫০ ব্যবসায়ী গ্রুপের ঋণের ৩৩ শতাংশই এখন খেলাপি
- রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আর্থিক খাতের নতুন আতঙ্কে শেয়ারবাজার
- আর্থিক ঝুঁকিতে শেয়ারবাজারের তিন তেল বিপনন কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য জানাল ঢাকা ডাইং
- গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য জানাল ঢাকা ডায়িং
- যে কারণে ঢাকা-৮ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে সবার
- ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
- দেশে ভয়াবহ হারে বেড়েছে বৈদেশিক ঋণের চাপ
- জনতা ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপ: ৩৪ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা
- ডিএমপির ১৫ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন
- টানা ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- কৃষকদের জন্য জরুরি ঘোষণা দিল সরকার
- ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ
- ভোটের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি
- সিএসই শরিয়াহ সূচকে বড় পরিবর্তন, বাদ ১০ কোম্পানি
- ‘ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেব’—ইসিকে প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচন দেরি হলে সংকট বাড়বে’—মান্নার সতর্কবার্তা
- আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
- তিন মাস পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু, বাজারে স্বস্তির হাওয়া
- নিজেকে বিয়ের অনুপযুক্ত বললেন বলিউড তারকা
- আইটি কনসালট্যান্টসের ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- কোহিনূর কেমিক্যালের ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- রোহিঙ্গাদের জন্য যৌথ তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য ও কাতার
- হঠাৎ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখল করে অভ্যুত্থানের ঘোষণা
- আয়না ঘরের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন চিফ প্রসিকিউটর
- ডিজির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা: শোকজ পেয়ে যা করলেন চিকিৎসক
- ইপিএস প্রকাশ করবে দুই কোম্পানি
- আট বছরের অপেক্ষা বাড়ল বেক্সিমকো সুকুক বন্ডহোল্ডারদের
- খাদ্য খাতে বড় ধাক্কা, উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি
- কেএইচবি সিকিউরিটিজের ঋণ সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্তে বিএসইসি
- “সোমবারই বিটিভিকে চিঠি”—তফসিল রেকর্ডের নির্দেশ
- জ্বালানি নীতিতে বিস্ফোরক বক্তব্য প্রেসসচিবের
- এজিএম-এর ভেন্যু ঘোষণা করেছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল
- খেলাপি কমাতে নতুন পথ খুলে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ধাক্কা খেল জিপিএই ইস্পাত
- ৩৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন নিয়েও ব্যাংকের ডিলিস্টিংয়ে সমন্বয়হীনতা
- সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- ৯টি এনবিএফআই অবসায়নের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য সুখবর
- শেয়ারবাজারে ব্যাংক এশিয়া ব্রোকারেজ হাউজের বড় বিনিয়োগ
- জিপিএইচ ইস্পাতের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বোনাস ডিভিডেন্ড পেল কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চমক দেখাল সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কোম্পানির শেয়ার
- এনসিপিতে জায়গা হচ্ছে না আসিফ মাহমুদের, প্রকাশ্যে দুই উপদেষ্টার দ্বন্দ্ব
- ৭৬টি কম্পনের পর ভূমিকম্পের চরম সতর্কতা
- শেয়ারবাজারে পতনের খলনায়ক ১০ কোম্পানি
- বাড়তি সময় পাচ্ছে আরও ১১ মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান
- ক্রেতা সংকটে লেনদেন বন্ধ ১৩ কোম্পানির







.jpg&w=50&h=35)






