ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ইসরাইলের ঘরে ঘরে হামাসের ‘নুখবা ফোর্স’ আতঙ্ক

২০২৩ অক্টোবর ১৪ ১৬:৫৮:০৮
ইসরাইলের ঘরে ঘরে হামাসের ‘নুখবা ফোর্স’ আতঙ্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের এখন ঘরে ঘরে নুখবা বাহিনী আতঙ্ক। কারণ ইসরায়েলে হামাসের শনিবারের (০৭ অক্টোবর) অভিযানের পেছনে ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন 'এলিট নুখবা ফোর্স'-এর বিশেষ শাখা। হামাসের দুঃসাহসী এই বাহিনী নিধনেই বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরও জানায়, ‘নুখবা সদস্যরা নেতৃস্থানীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে একটি যারা ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল। গাজাজুড়ে হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করে ‘বিস্তৃত আক্রমণ’ শুরু করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এপি।

সেনাবাহিনী জানায়, ‘নুখবা ফোর্সের সদস্যরা টানেল দিয়ে ইসরাইলে অনুপ্রবেশ করে অতর্কিত ‘হামলা’ চালিয়েছে।’

একই দিনে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডএফ) মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, হামাস ২০০৭ সালে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই গাজা শহর থেকে শুরু করে উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চলে ভ‚গর্ভস্থ টানেলের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। আর এই টানেলগুলো ব্যবহার করেই এখন নুখবা ফোর্সসহ হামাসের অন্যান্য ফোর্সগুলো হামলা চালাচ্ছে।

তিনি জানান, ‘এই টানেলগুলোই এখন ইসরাইলের বিমান হামলার একটি বিশেষ অগ্রাধিকার। টানেলগুলো ব্যবহার করে হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরাইলের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা ও অপারেশন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।’ আরও বলেন, হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডোরা রয়েছেন এমন অবকাঠামো ও অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ।

এর আগে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচ্ট জানিয়েছিলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে স্থল আক্রমণ শুরু করতেও প্রস্তুত ইসরাইল। বলেছেন, ‘যদিও এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি তবে আমরা একটি স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ তবে গাজায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। আইডএফ জানিয়েছে, ইসরাইল গাজা সীমান্তের কাছাকাছি ৩ লাখেরও বেশি যোদ্ধা সংগ্রহ করেছে।

হামাসের প্রতিনিধিরাও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, গোষ্ঠীটি গাজায় ইসরাইলের হামলার পর দক্ষিণ ইসরাইলে নতুন রকেট ব্যারেজ চালু করেছে। এছাড়া তেল আবিব ও দক্ষিণ ইসরাইলের শহর আশকেলনেও গুলি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

নুখবা ফোর্স আসলে কি? এই ফোর্সটির নাম এসেছে ‘আল-নুখবা’ শব্দ থেকে। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘অভিজাত’। এর কমান্ডোরা হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সুরক্ষায়ও কাজ করে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ টানেলে অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা। তারা অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল, রকেট ও স্নাইপার ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ। ফোর্সটি হামাসের সামরিক শাখা ইজ আল-দিন আল-কাসেম ব্রিগেডের প্রধান যুদ্ধ ইউনিটের অংশ।

ইসরাইলের সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুযায়ী, ‘নুখবা এলিট বাহিনীর সদস্যদের হামাসের ঊর্ধ্বতন অপারেটিভদের দ্বারা নির্বাচন করা হয়েছে। যাদের প্রধান কাজ অভিযান পরিচালনা, সুড়ঙ্গে অনুপ্রবেশ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল চালানোসহ রকেট ও স্নাইপার ফায়ার পরিচালনা।

শেয়ারনিউজ, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে