আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিলে তিলে কামানো টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেজন্য ব্যাংকের লকারে রেখে এসেছিলেন। মোট ১৮ লক্ষ টাকা রাখা ছিল লকারে। ভেবেছিলেন সেই টাকা সে তার মেয়ের বিয়েতে খরচ করবে। কিন্তু সেই টাকাটা খেয়ে ফেলেছে উইপোকায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে।

জানা গেছে, গত ২০২২ সালের অক্টোবরে অলকা পাঠক নামে এক বাবা তার সারা জীবনের সঞ্চয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রেখে এসেছিলেন। টাকার সঙ্গে গয়নাও রেখেছিলেন লকারে। যেহেতু এক বছর হয়ে গিয়েছিল, তাই ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কেওয়াইসি আপডেট করাতে হত ওই প্রৌঢ়াকে। আর সেই কেওয়াইসি আপডেট করানোর জন্য প্রৌঢ়াকে ব্যাংক থেকে ডেকে পাঠানো হয়।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা দিতে গিয়েছিলেন অলকা। কেওয়াইসি জমা দেওয়ার পর নিজের গচ্ছিত সম্পদ ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য লকার খোলেন। কিন্তু তখনই ঘটে লঙ্কা কাণ্ড! বান্ডিল বান্ডিল টাকা উধাও! লকারের ভেতর কিলবিল করছে উইপোকা। প্রৌঢ়ার তখন আর বুঝতে বাকি নেই যে তার সর্বনাশ হয়ে গেছে। আর সেই সর্বনাশের মূলে কে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।

ভুক্তভোগী জানান, বড় মেয়ের বিয়ের সময় তিনি অনেক টাকা পেয়েছিলেন। ছোটখাটো ব্যবসাও চালান। সেখান থেকে উপার্জিত টাকাও তিনি ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য সঞ্চয় করছিলেন। অলকা মোট ১৮ লক্ষ নগদ জমা করেছেন। এরপর গত অক্টোবরে ব্যাংকের ০ লকারে টাকা ও কিছু গহনা রেখে যান তিনি।

ভুক্তভোগীর দাবি, লকারে যে টাকা রাখা যায় না, সেটা তিনি জানতেন না। ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন, উচ্চ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শেয়ারনিউজ, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩