ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

রবির লক্ষ্য ডিজিটাল ব্যাংকিং: দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নতুন বিপ্লব

২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ২১:৫৪:২৩
রবির লক্ষ্য ডিজিটাল ব্যাংকিং: দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নতুন বিপ্লব

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের নবনিযুক্ত সিইও জিয়াদ শাতারা বাংলাদেশের ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থার প্রসারে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মালয়েশীয় ডিজিটাল ব্যাংক 'বুস্ট'-এর সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে রবি সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। মূলত ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প খরচে বৈচিত্র্যময় আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশে একটি ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য 'বুস্ট-রবি' নামে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শাতারা বলেন, এটি কেবল প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ার একটি মাধ্যম। বুস্ট-এর প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং রবির বিশাল গ্রাহক শ্রেণিকে কাজে লাগিয়ে দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং ধারায় পরিবর্তন আনতে চায় কোম্পানিটি। একই সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সুশাসনের বিষয়টিও রবির কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

টেলিকম খাতের প্রতিযোগিতা নিয়ে সিইও বলেন, তাঁরা আদালতে দীর্ঘসূত্রতার চেয়ে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে বেশি আগ্রহী। তবে নিজেদের অধিকার রক্ষায় আইনি পরামর্শ নেওয়া একটি নিয়মিত বিষয়। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি কোনো একটি নির্দিষ্ট অপারেটরের অনুকূলে থাকলেও, রবির মূল মনোযোগ এখন গ্রাহক সেবা এবং নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানোর দিকে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে সবার জন্য সমান সুযোগ বা 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিত করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এবং নীতিমালার ধারাবাহিকতা নিয়ে শাতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, রবি প্রতি অর্থবছর-এ তাদের মোট আয়ের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সরাসরি মূলধনী ব্যয় হিসেবে বিনিয়োগ করে থাকে, যা সচরাচর দেখা যায় না। তবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি আসন্ন ৭০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিলাম আগামী সাধারণ নির্বাচনের পর আয়োজনের পরামর্শ দেন।

নতুন টেলিকম লাইসেন্সিং নীতিমালার সমালোচনা করে রবির সিইও বলেন, ২০১৮ সালের নীতিমালা সঠিক মূল্যায়ন না করেই এটি করা হয়েছে, যা ব্যবসায়িক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশেষ করে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৫ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তরের বাধ্যবাধকতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে গত বছর পরিকল্পিত টাওয়ারের মাত্র অর্ধেক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে