ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

এবার রাজনীতিতে আসার কারণ জানালেন মীর স্নিগ্ধ

২০২৫ নভেম্বর ০৭ ১৫:২৭:২৫
এবার রাজনীতিতে আসার কারণ জানালেন মীর স্নিগ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। যোগদানের পর সমালোচনার মুখে পড়লেও স্নিগ্ধ বলেন, তিনি এতে রাগ না পেয়ে বরং ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরে সবাইকে করা মন্তব্য তিনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। অনেকে তাঁকে ভালোবাসা ও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবার অনেকে সমালোচনা করেছেন—‘ভাইয়ের রক্ত বেচে খাচ্ছেন’, ‘অযোগ্য’, ‘ক্ষমতালোভী’—তবে এতে তিনি একটুও রাগ পাননি। বরং এই মন্তব্যগুলোকে ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

স্নিগ্ধ আরও লিখেছেন, তিনি রাজনীতিতে জন্মেননি। কয়েক মাস আগেও সাধারণ একজন যুবক ছিলেন, পড়াশোনা শেষ করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু জুলাইয়ের সেই দিন তার জীবন ও পরিবারের সবকিছু বদলে দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, যখন বলা হয় তিনি ‘ভাইয়ের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন’, তখন মনে হয় বেঁচে থাকাটাই মাঝে মাঝে অপরাধ।

রাজনীতিতে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে স্নিগ্ধ লিখেছেন, তিনি শখ বা স্বার্থের জন্য নয়, বরং পরিবর্তন আনার জন্য এসেছেন। রাতের পর রাত জাগা, আহতদের আর্তনাদ শোনা—সবশেষে বুঝেছেন শুধু কান্না দিয়ে বিচার পাওয়া সম্ভব নয়। সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য আইন প্রণয়নের জায়গায় নিজেকে থাকতে হবে। তিনি স্বীকার করেছেন, অভিজ্ঞ নন, পাকা রাজনীতিকদের মতো মিথ্যা বলতে পারবে না, ভুলও হতে পারে, তবে ভুল হলে জনগণই তাকে শাসন করবেন।

স্নিগ্ধ বলেছেন, যারা তাঁকে ভালোবাসেন বা ঘৃণা করেন, মূলত সবাই একই জিনিস চান—মুগ্ধর আত্মত্যাগ বৃথা না যাক। তিনি যোগ করেছেন, তিনি নেতা হওয়ার জন্য নয়, বরং হারিয়ে যাওয়া ভাই ও বোনদের রেখে যাওয়া নতুন যাত্রার অংশ হতে এসেছেন। সব সমালোচনা, গালি সহ্য করে শেষ পর্যন্ত তিনি স্থির থাকবেন।

সবশেষে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে স্নিগ্ধ লিখেছেন, “আমি হেরে গেলে, আপনি হেরে গেলে, আমরা হেরে গেলে, হেরে যাবে মুগ্ধ, হেরে যাবে আবু সাঈদ, হেরে যাবে জুলাই। পাশে থাকবেন তো?”

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে