ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

গাজা নিয়ে সৌদির গোপন পরিকল্পনা ফাঁস

২০২৫ অক্টোবর ২৫ ১৬:০৯:১০
গাজা নিয়ে সৌদির গোপন পরিকল্পনা ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। হামাসকে নিরস্ত্র করে প্রভাবহীন করা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে শক্তিশালী করাই রিয়াদের মূল পরিকল্পনা।

সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই–এর হাতে আসা সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গোপন প্রতিবেদনে এই পরিকল্পনার কথা উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরব গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগকে সমর্থন করবে। এতে সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব ও মুসলিম দেশ অংশ নিতে পারে।

সৌদি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সংস্কারের মাধ্যমে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করা হবে।

রিয়াদ মনে করে, হামাস শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে এবং বিভাজন গভীর করছে। তাই আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে ধাপে ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে। পরবর্তীতে গাজা প্রশাসনের দায়িত্ব ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সৌদি আরব মিসর, জর্ডান ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ২০০৭ সালের পর থেকে গাজায় কোনো উপস্থিতি রাখতে পারেনি। সৌদি আরব এখন দুর্নীতি দমন, প্রশাসনিক সংস্কার ও সব গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে অর্থ ও কারিগরি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

তবে প্রতিবেদনে ইসরাইলের নাম উল্লেখ করা হয়নি, এবং হামাস এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হবে কি না, তাও পরিষ্কার নয়।

প্রতিবেদন প্রকাশের আগের দিনই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

এর আগে সৌদি আরব ও ফ্রান্স গাজায় শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করে, যা যুদ্ধবিরতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ও সংলাপ পুনরায় চালুর আহ্বান জানায়।

অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়, যেখানে হামাস নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে হামাস জানায়, “ইসরাইলি দখল শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব নয়।”

অঞ্চলজুড়ে শান্তি ও পুনর্গঠনের নেতৃত্বে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এই উদ্যোগে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “সৌদি আরব যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়, ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করবে।”

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে