ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
Sharenews24

পাঁচ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত

২০২৫ জুন ৩০ ০০:১৭:৩৪
পাঁচ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইস্যু করা ৫ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব লাইসেন্সের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দলটির সমর্থক ব্যবসায়ীদের নামে বলে জানা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে জমা পড়া ও জমা না পড়া অস্ত্রের লাইসেন্সের তথ্য যাচাই করে কাগজপত্রে অসংগতি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সব লাইসেন্স স্থগিত করে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো ৭ হাজারের বেশি লাইসেন্সের অস্ত্র জমা পড়েনি। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়েও এসব লাইসেন্সধারী বা অস্ত্র খুঁজে পায়নি। কারণ ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বা বিদেশে চলে গেছেন। অস্ত্র জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনা চলছে।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৪৯ হাজার ৬৭১টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ২০০টি লাইসেন্স আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০টি বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি লাইসেন্স ঢাকা বিভাগে (১৪ হাজার ৬৮৩টি)।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার আগস্টেই সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা না দিলে লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তবে ৯ মাস পরও ৭ হাজারের বেশি অস্ত্র জমা পড়েনি। জমা দেওয়া ও না দেওয়া উভয় ক্ষেত্রেই কাগজপত্রে অসংগতি পাওয়ায় ৫ হাজারের বেশি লাইসেন্স বাতিলের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনেক লাইসেন্স রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছিল এবং এসব অস্ত্রের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যারা নির্দেশ অমান্য করে অস্ত্র জমা দেননি বা ভুয়া তথ্য দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এদিকে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে যারা অস্ত্র জমা দেননি, তাদের কাছে থাকা অস্ত্র এখন অবৈধ এবং পুলিশ সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে