ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
Sharenews24

এই ‘হাছিনা’ সেই হাসিনা নয় তবুও বিতর্ক

২০২৫ জুন ২৮ ১২:০৬:৩৭
এই ‘হাছিনা’ সেই হাসিনা নয় তবুও বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে ঘটেছে বিভ্রান্তিকর ঘটনা। ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘পাঁচবাড়ীয়া হাছিনা ওয়াজেদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটির নাম দুইবার বদলানো হয়েছে — যদিও এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিদ্যালয়টি সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবর রহমান তাঁর মা হাছিনা বেগম ও বাবা ওয়াজেদ আলীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় চারটি পরিবার ৩৩ শতক জমি দান করে বিদ্যালয়টির জন্য। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ওই পরিবারের চারজন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন, যাদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছেন। বাকি একজন, আলফাজ উদ্দিন, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রথম পরিবর্তন: 'হাছিনা' থেকে 'হাসিনা'

২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলে সরকারিভাবে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়: পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে ‘হাছিনা’ বানান বদলে ‘হাসিনা’ লেখা হয় — যা অনেকের কাছে শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

দ্বিতীয় পরিবর্তন: ‘হাসিনা ওয়াজেদ’ নামই বাদ!

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়, যেগুলোর নাম শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলে যায়।

২৬ জুন প্রকাশিত তালিকার ৬০৩ নম্বরে বিদ্যালয়টির নাম দেখা যায় — নতুন নাম: পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ নিয়ে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শৈলন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,“নাম নিয়ে বারবার পরিবর্তনে শিক্ষক, ছাত্র ও এলাকাবাসী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। যদি আগের হাছিনা ওয়াজেদ নামটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক কর্মকর্তা মুনিবর রহমান ইতোমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন,“বিদ্যালয়ের নামকরণ আমার মা হাছিনা বেগম ও বাবা ওয়াজেদ আলীর নামে। এটি শেখ হাসিনা বা তাঁর স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্পর্কহীন।”

পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,“সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠাতার আবেদন অনুযায়ী শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা এলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।”

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে