ঢাকা, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৫:৩৩:০৩
বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে টানা মন্দাভাব, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে না আসা এবং অদক্ষতার অভিযোগে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণ দাবি করেছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সংগঠনটির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপিটি জমা দেন। এ সময় উপদেষ্টার পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান।

এর আগে গত রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে "শেয়ারবাজার সংস্কারে করণীয়" শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে বিসিএমআইএ। সভায় সোমবার স্মারকলিপি প্রদান করার পরিকল্পনা জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, “একটি দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছে শেয়ারবাজার।” ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পূর্বে দেশের শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীরা খারাপ অবস্থায় ছিল। তবে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সেই প্রত্যাশা কার্যত পূর্ণ হয়নি। বর্তমান সরকারের সময়ে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপের অভাবে আস্থার সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, “বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ গত ছয় মাসেরও অধিক সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেননি। বরং আস্থাহীনতা আরও প্রকট হয়েছে। অথচ উপমহাদেশের মধ্যে দেউলিয়া রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক উন্নত অবস্থানে রয়েছে।”

এছাড়া, দীর্ঘদিন লেনদেনের সংকটের ফলে ব্রোকার হাউজগুলো তাদের পরিচালনা ব্যয় চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, যার ফলে অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক ব্রোকার হাউজের ট্রেড বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আরও কয়েক লাখ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, “বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাজারমূলধন প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে, সূচক ৮০০ পয়েন্ট কমেছে, এবং বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।” বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান চেয়ারম্যানের শেয়ারবাজার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই।

এদিকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এনামুল/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে