ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

আয়নাঘরে আটক: নাহিদ ও আসিফ ফিরে পেলেন সেই টর্চার সেল

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৪:৩৭:১৫
আয়নাঘরে আটক: নাহিদ ও আসিফ ফিরে পেলেন সেই টর্চার সেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) টর্চার সেল বা আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে তারা নিজেদের সেই ভয়াবহ স্মৃতি পুনরায় জীবন্ত করে তুলেছেন।

এই ঘটনায় একাডেমিক ও ছাত্র অধিকার আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত যেসব ঘটনার অভিযোগ ওঠে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল নাহিদ ও আসিফের গুম হয়ে যাওয়া এবং নির্যাতনের ঘটনা। ড. মুহাম্মদ ইউনুস আয়নাঘরের সেল পরিদর্শন করতে গিয়ে সেগুলো চিনতে পেরেছেন তারা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "এই কক্ষে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেই কক্ষে একপাশে একটি বেসিন ছিল যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হত। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয় এবং দেয়ালের রঙ পাল্টে দেওয়া হয়।"

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরো জানান, তাকে যে কক্ষে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল, সে কক্ষের দেয়ালের উপরের অংশে এক্সহস্ট ফ্যান ছিল, কিন্তু এখন সেটা আর নেই। এই সেলটি ছোট ছিল এবং পরে মাঝের দেয়াল ভেঙে বড় করা হয়েছে। আসিফ আরও জানান, "আমাকে কক্ষের বাইরের টয়লেটে নেওয়া হতো, তবে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হত এবং সেখানে আমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগও ছিল না।"

নাহিদ ও আসিফের মুখে উঠে এসেছে টর্চার সেলের নানা ভয়াবহতা, যা সরকার বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় একজন ছাত্রনেতার ওপর যে ধরনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার হতে পারে তা স্পষ্ট করে দেয়।

এদিন, আয়নাঘর পরিদর্শনকালে, দুই ছাত্রনেতার কষ্টকর স্মৃতি ফেরত আসলে সবার সামনে এক নতুন তথ্য উঠে আসে। দু'জনেই বলেছেন যে, এমন অপরাধের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার হওয়া উচিত এবং তাদের প্রতি কোনো ধরনের দয়ার স্থান নেই।

এই সেলে আটক থাকার সময় তাদের শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি, মানসিক অত্যাচারও করা হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অসহ্য শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল, যার ফলে তাদের দৈহিক ও মানসিকভাবে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

এই ঘটনার পর, দুটি বিষয় বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে—প্রথমত, সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি কর্তৃপক্ষের সহিংস প্রতিক্রিয়া এবং দ্বিতীয়ত, ৫ আগস্টের পর সেলগুলোর দেয়াল ভাঙার মাধ্যমে সেই স্থানগুলোকে নতুন করে সাজানো।

এই ঘটনার প্রতি রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া এবং মিডিয়ার ভূমিকা দেশজুড়ে চর্চিত হতে শুরু করেছে।

তানভীর/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে