ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৬:২৫:৫৩
এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। প্রতিবাদকারীরা সরকারী চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধ কোটার সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়। এ সময় শেখ হাসিনা তাঁর এক সংবাদ সম্মেলনে এই আন্দোলন এবং কোটা বিষয়ে বক্তব্য দেন, যা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেছিলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন, এবং মুক্তিযুদ্ধের কোটার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে রাখেন। তবে তাঁর এই বক্তব্যটি আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং বিশেষভাবে দেশের যুব সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। বহু শিক্ষার্থী এবং যুবক এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনের গতি আরও ত্বরান্বিত করে, এমনকি ছাত্রসমাজের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনার সরকারকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছিল, এবং তার এই মন্তব্যের পর অনেকেই তাঁর পতনকে আরও কাছাকাছি মনে করতে শুরু করেন।

ভারত থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে, শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্যের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। ঐ বাড়িটি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ছাত্ররা বাড়িটির সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়, পরে তারা বাড়িটির বিভিন্ন অংশে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহীসহ বিভিন্ন শহরেও আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ও দলীয় অফিসগুলোতে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।

ছাত্ররা অভিযোগ করে, শেখ হাসিনার এই বক্তব্যে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণ এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে উসকানিরূপে দেখা হচ্ছে। তার ভাষণে একদিকে জনগণের প্রতি সহানুভূতি না থাকা এবং অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে, যা ছাত্র-জনতাকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

শেখ হাসিনা সম্প্রতি জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। তার মতে, ঐ গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন তাদের নিয়ে তিনি অবমাননাকর এবং বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন, যা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, শেখ হাসিনার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, এবং নিপীড়নমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তিনি একই হুমকি-ধামকি দিয়ে গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন, যা আবারও জনমনে ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাইফ

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে