ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যে চমকপ্রদ সুবিধা রয়েছে, জানলে অবাক হবেন

২০২৫ জানুয়ারি ০৬ ১৬:১৭:২৫
খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যে চমকপ্রদ সুবিধা রয়েছে, জানলে অবাক হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ৭ জানুয়ারি রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবেন। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ তিনি কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও যাত্রাকে কেন্দ্র করে এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

এয়ারবাস এ-৩১৯: কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসলে একটি অত্যাধুনিক ভাসমান হাসপাতাল। এটি একটি এয়ারবাস এ-৩১৯, যা জরুরি চিকিৎসা ও রোগী পরিবহনের জন্য আদর্শ। বিমানটি একটি চলমান হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার ভেতর রয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুবিধা।

বিশেষ বিমানটিতে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোন ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিশেষ করে, বিমানে রয়েছে আইসিইউ সুবিধা, যা রোগীকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম।

একজন অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যারা যাত্রাপথে রোগীর যত্ন নিতে প্রস্তুত। তাদের দায়িত্ব হলো খালেদা জিয়ার চিকিৎসা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।

খালেদা জিয়ার যাত্রা আরামদায়ক করতে বিমানটির অভ্যন্তরীণ ডিজাইনও অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে তৈরি। বিমানে রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা বিশ্রামাগার রাখা হয়েছে, যা দীর্ঘ বিমান যাত্রার সময়ে তাদের সুবিধা নিশ্চিত করে।

এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, অর্থাৎ, দূরপাল্লার যাত্রায়ও রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও অন্যান্য সুবিধা পূর্ণ করা সম্ভব। এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা বিশেষ করে দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কাতারের আমিরের পাঠানো এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে খালেদা জিয়া সবার অগ্রাধিকার নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। বিমানে খালেদা জিয়ার সাথে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চিকিৎসক, বিএনপি নেতারা, ব্যক্তিগত কর্মী এবং দুজন গৃহকর্মীও থাকবেন।

খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডনে থাকবেন এবং সেখানে কিছুদিন বিশ্রাম নেবেন। দলের সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা শেষ হলে তিনি সৌদি আরবেও যেতে পারেন, যেখানে পবিত্র ওমরাহ পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরে তিনি দেশে ফিরে আসবেন, এবং তার চিকিৎসার পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এদিকে, খালেদা জিয়ার এই সফরের মাধ্যমে মা ও ছেলের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা শুধু তাদের ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, দলের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেনসবাই আশা করছেন, খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। তার সুস্থতার সঙ্গে দেশ ও দলীয় রাজনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে।

কেএইচ

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে