ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা কীভাবে অসম্ভব প্রত্যাবর্তন করতে পারেন : টাইম ম্যাগাজিন
সজীব ওয়াজেদ জয়ের মা এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তখন পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি বার্তা পাঠান জয়। তবে জয়ের মা যে সমস্যায় পড়েছিলেন, সেটি সাধারণ কোনো সমস্যা ছিল না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখোমুখি হয়েছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এই অস্থিরতার পেছনে কারণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করা।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জয় বলেন, "আমরা সবাই-ই কোটা আন্দোলন দেখে অবাক হয়েছিলাম। আসলে আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, '৩০ শতাংশ কোটা বেশি হয়ে যায়; আমাদের এটি কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত। তখন একজন মন্তব্য করেন, 'আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি।' আমি মজা করে বলেছিলাম, 'এজন্যই তো আমি ৫ শতাংশ রাখতে বলেছি!'"
শেষ পর্যন্ত কোটা ইস্যু অগ্নিশিখার মতো বৈষম্য ও রাজনৈতিক দমনপীড়নের প্রতি বাংলাদেশের জনসাধারণের ক্ষোভকে উসকে দেয়। জুলাই মাসে এই অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের সহিংসভাবে দমন-পীড়নের ফলে অন্তত ১ হাজার মানুষ মারা যান।
হাসিনাকে শেষবারের মতো যখন দেখা যায়, তখন তাকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ওঠানো হচ্ছিল। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা তার সরকারি বাসভবনের দখল নিয়েছিলেন। হাসিনা সেই পরিস্থিতিতে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি এখন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন এবং জনসম্মুখের আড়ালে থেকে নিজের ক্ষত সারানোর চেষ্টা করছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, "তিনি (হাসিনা) দেশের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই হতাশ। কারণ গত ১৫ বছরে তার সব পরিশ্রম প্রায় বিফলে যাচ্ছে।"
বাংলাদেশে এখন একটি বড় ধরনের হিসাব-নিকাশ চলছে। ১৫ বছরের অপ্রতিরোধ্য শাসনের সময় হাসিনার দল আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এর ফলে সেনাবাহিনী, আদালত, জনসেবা ও বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি গভীর অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে মানুষের মনে।
১৭ কোটির বেশি জনসংখ্যা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের পুনর্গঠনের দায়িত্ব পড়েছে ছাত্রনেতা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর, যারা হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাসিনার শাসনামলে তার বিরুদ্ধে শতাধিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা অনুষ্ঠিত হতে অন্তত ১৮ মাস সময় লাগতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং জাতীয় সংবিধানসহ একটি ছয় দফা সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। ২৬ আগস্ট এক টেলিভিশন ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, "দুর্নীতি, লুটপাট এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি দায়বদ্ধ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই এই সংস্কারের উদ্দেশ্যে। এখন যদি আমরা এখন সুযোগ হারাই, আমরা জাতি হিসেবে পরাজিত হব।"
হাসিনার দেশত্যাগের পর কয়েক সপ্তাহ রাজনীতি ও নিরাপত্তাশূন্যতা তৈরি হয়েছিল। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আওয়ামী লীগের লোকজনদের সরানো হয়েছে, অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারো পুলিশ সদস্য আত্মগোপনে চলে গেছেন, যাতে জনরোষের শিকার না হন (অন্তত ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন)।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেত্রী খালেদা জিয়া গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দেশের প্রধান ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
তবে হাসিনার পতনের উচ্ছ্বাস এখন দেশ কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে মতবিরোধে রূপ নিয়েছে। ৩১ সেপ্টেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সরকারের পক্ষ থেকে পাঠ্যবই পর্যালোচনা করার জন্য গঠিত একটি কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্তকে ইসলামি মৌলবাদীদের সঙ্গে "গুরুতর এবং বিপজ্জনক" আপস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এর জবাবে, ইসলামী সংগঠন হেফাজত-এ-ইসলামের নেতারা এসব উদ্বেগকে "ফ্যাসিবাদী" বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
তবে, অন্তর্বর্তী সরকারে কোনো রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি না থাকায় নতুন নির্বাচনের দাবি আরও জোরালো হবে। "এই সরকারের বৈধতা আছে, জনসমর্থন আছে, কিন্তু জনপ্রতিনিধিত্ব নেই," বলেছেন নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষক মুবাশার হাসান।
সংস্কারকরা সত্যিই জটিল এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন। কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং দুর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনতে সময় লাগবে। কিন্তু যে দেশে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে খুব শীঘ্রই জনগণ ধৈর্য হারাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণে গত সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.১ শতাংশ করেছে।
জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন 'অবাধ ও সুষ্ঠু' হয়নি বলে উল্লেখ করেছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০২২ সালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে ১৪৭তম অবস্থানে ছিল এবং তালেবানশাসিত আফগানিস্তানের এক ধাপ ওপরে ছিল।
সংস্কারপন্থিদের আশঙ্কা দেশকে দ্রুত সংস্কারের দিকে নিয়ে যেতে না পারলে আওয়ামী লীগ আমলের এসব দুর্নীতির স্মৃতি সাধারণ মানুষের স্মৃতি থেকে ফিকে হতে শুরু করতে পারে। উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান, হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না।
কুগেলম্যান বলেন, হাসিনার প্রত্যাবর্তন 'বেশ সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাস ঘাঁটুন। দেখবেন, পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে দেউলিয়া মনে হলেও এ দলগুলোকে একেবারে বাতিলের খাতায় ফেলতে পারবেন না।'
তবে অন্য পর্যবেক্ষকরা হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কুগেলম্যানের মতো এত আত্মবিশ্বাসী নন। সারা বাংলাদেশে হাসিনার পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে, বিকৃত করা হয়েছে। তাকে স্বৈরাচার হিসেবে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। 'তরুণ প্রজন্ম হাসিনার লিগ্যাসিকে এভাবেই দেখছে,' বলেন মুবাশার।
জয় বলছেন, হাসিনা নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য দেশে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে 'কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি'।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম যদি স্থবির হয়ে পড়ে, তাহলে যে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সুযোগ বাড়বে, সে বিষয়ে সবাই-ই একমত। ঢাকাভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের মতে, 'আগামী দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হাসিনা ও তার দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হলে এই প্রেক্ষাপট বদলে যেতে পারে।'
আর ব্যাপক রাজনৈতিকীকরণ হওয়া আমলাতন্ত্র আদতেই সংস্কার বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করছে বলেন উল্লেক করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শহিদুল হক। তিনি বলেন, সংস্কারে বাধা দিতে হেন প্রচেষ্টা নেই, যা এই প্রশাসন করছে না। "তারা এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আর দৃশ্যমান কোনো উন্নতি না হলে মানুষ ধৈর্য হারাবে।"
আর জয় এই আশাতেই আছেন। বর্তমান "আইনবিহীন" পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি এক বছর বা ১৮ মাস দেশ পরিচালনা করতে চায়, তাহলে ঠিক আছে।'
হাসিনার পতনের পর পুলিশ ও সংখ্যালঘুরদের ওপর ব্যাপক হামলার অভিযোগ উঠলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। "কোনো দাঙ্গা হয়নি। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বড় আকারের আক্রমণ দেখিনি," বলেন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, "আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি।"
এই পরিস্থিতিতে অন্যতম খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ওয়াশিংটন। অন্তর্বর্তী সরকারের আইনগত অবস্থা অস্পষ্ট হওয়ায় মার্কিন সমর্থন আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন সমর্থনের গুরুত্ব বোঝা গেছে গত মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে হোয়াইট হাউসে ইউনূসের সাক্ষাতের মাধ্যমে। "মার্কিন সমর্থন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর," বলেন শহিদুল হক।
তবে অচলাবস্থা যত দিন চলতে থাকবে, ততই নতুন বয়ান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। যদিও জয় তার মায়ের দমন-পীড়নের কিছু ভুল স্বীকার করেন, মৃতের সংখ্যা নিয়েও তর্ক করছেন না। তবে তিনি জোর দিয়ে দাবি করছেন, অন্তত অর্ধেক হত্যাকাণ্ড "জঙ্গিরা" ঘটিয়েছে; যারা সম্ভবত "বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা" থেকে অস্ত্র পেয়েছিল।
তবে জয়ের এই দাবির সপক্ষে বলার মতো কোনো প্রমাণ নেই। মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, "পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং আন্দোলন দমনের আদেশ দেওয়ার অসংখ্য ভিডিও রয়েছে।"
দলের নিজ সদস্যদের মধ্যেই সমর্থন ধরে রাখতে পারাটা এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দলের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ফলে সাধারণ সদস্যদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। "শেখ হাসিনা যেভাবে চলে গেলেন, তা একদম বিশ্বাসঘাতকতা," বলেন মুবাশার।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির তথ্য বলছে, হাসিনার শাসনের ১৫ বছরে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছেন।
৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট জয়ের বাংলাদেশের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করেছে। তবে তিনি দুর্নীতির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমাদের দেখান, টাকা কোথায়? অভিযোগ করা সহজ।"
"আওয়ামী লীগের উচিত ভুল স্বীকার করা এবং নির্বাচনে লড়ার জন্য একটি গণতান্ত্রিক দল হয়ে ফিরে আসা," বলেন মিনাক্ষী গাঙ্গুলি।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে "গণহত্যা" এবং "মানবতাবিরোধী অপরাধ"-এর অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলটিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এ দাবি জয়ের কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। টাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটি আইনিভাবে সম্ভব নয়।"
এমনকি সংস্কারপন্থীরা এবং বিরোধী দলগুলোও নিশ্চিত নয়, একসময় ব্যাপক তৃণমূল সমর্থন পাওয়া একটি দলকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় স্বার্থের কোনো লাভ হবে কি না। বর্তমানে মূল লক্ষ্য গত কয়েক দশক ধরে চলে আসা প্রবল রাজনৈতিক প্রতিশোধের এই চক্র থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা। তবে কুখ্যাত এবং প্রতিশোধপরায়ণ হাসিনার অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব কি না, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
জিল্লুর রহমান বলেন, "আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল শেখ হাসিনাকে কাল্ট চরিত্র হিসেবে দাঁড় করানো। তারা শেখ মুজিবের কন্যার বিকল্প ভাবতেও পারে না।"
শেখ হাসিনার বিকল্প জয় হতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর বলেন, "তিনি যদি বাংলাদেশের জনগণের নেতা হিসেবে নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলতে না পারেন, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।" জিল্লুর-এর এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গবেষক মুবাশার বলেন, "তরুণদের মধ্যে তার (জয়) প্রতি শ্রদ্ধা ও আকর্ষণ নেই। আর মানুষের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।"
জয় এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি রাজনীতিতে আসবেন কি না। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমার কখনও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, কে জানে? আমি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।"
সম্ভবত এটি তাদের পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের জন্য আরও একটি আলোচনার খোরাক।
এস/
পাঠকের মতামত:
- সৌন্দর্যের হিংসা—চার শিশুর জীবন কেড়ে নিল যে নারী
- সাত সকালেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা
- ৩৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন নিয়েও ব্যাংকের ডিলিস্টিংয়ে সমন্বয়হীনতা
- ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজের অনিয়ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- ওয়াইম্যাক্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- দুলামিয়া কটনের এজিএম স্থগিত
- যুদ্ধের ধ্বংসে জন্ম নিল নতুন জীবন
- আট কুকুর ছানার ‘হত্যাকারী’ নিশি যা বললেন
- মোবাইল নিয়ে প্রবাসীদের দুঃখ শেষ!
- লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান
- অবশেষে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক পেল এনসিপি
- যে কারণে আবার বিয়ে—খোলাসা করলেন সাবিকুন নাহার নিজেই
- পাসপোর্ট ও অনুমোদন পেয়েছে তারেক রহমানের সেই 'জিবু'
- এনসিপিতে জায়গা হচ্ছে না আসিফ মাহমুদের, প্রকাশ্যে দুই উপদেষ্টার দ্বন্দ্ব
- রাজবাড়ী ভাঙতে গিয়ে বেরিয়ে এলো গোপন সুড়ঙ্গ
- মার্কেট মুভারে নতুন চার কোম্পানি
- পতনের মধ্যেও বিক্রেতা সঙ্কটে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- জেএমআই হসপিটালের কৌশলগত পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত
- ৩ ডিসেম্বর ব্লকে চার কোম্পানির বড় লেনদেন
- শেয়ারবাজারে ব্যাংক এশিয়া ব্রোকারেজ হাউজের বড় বিনিয়োগ
- ৩ ডিসেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৩ ডিসেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৩ ডিসেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- নিয়ন্ত্রকদের উদাসীনতায় বাজারে অস্থিতিশীলতা, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারী
- সয়াবিন তেলের ৯ টাকার লাফ নিয়ে চাঞ্চল্য!
- সিটি ব্যাংকের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রশীদ
- সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন
- আবারও বিতর্কের জন্ম দিলেন মুফতি আমির হামজা
- ৩০ আসনে বিতর্কিত প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বিএনপির
- খালেদা জিয়া যেসব সুবিধা পাবেন ভিভিআইপি হিসেবে
- চার কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- চার কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু
- ১৯ দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
- মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর: চিকিৎসক জানালেন কারণ
- বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট দেখুন ডিজাইন
- টানা ২ দফা বাড়ার পর কমেছে স্বর্ণের দাম
- এবার সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
- ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারে ৩ জনের মৃত্যু
- ডিসেম্বরে দুই বিরল ঘটনার সাক্ষী হবে মানুষ
- ভূমিকম্প হওয়ার ৭ দিন আগেই সংকেত দেয় যে প্রাণী
- ইমরান খানকে নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ
- তালাকের পর আবারো এক হলেন আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার
- চার বছরে গোল্ডেন সনের লোকসান ৮১ কোটি টাকা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ধাক্কা খেল জিপিএই ইস্পাত
- খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তিন বাহিনী প্রধানের উপস্থিতি
- রিটার্ন নেই, নজরদারিও নেই—মিউচুয়াল ফান্ডে সংকটের গভীর স্রোত
- বাংলাদেশ বনাম আজারবাইজান: ৩ গোলে শেষ হল ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- হাসিনা রান্না করা ভাতও খেয়ে যেতে পারেনি
- ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর গ্রাহকরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন
- ফাঁস হল আইএফআইসি ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটির খেলাপি ঋণ
- শতভাগ মুনাফায় ভাসাচ্ছে ৩ কোম্পানি
- খেলাপি ঋণের ধাক্কা: ১৬ ব্যাংক নতুন ঋণ দিতে অক্ষম
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ধাক্কা খেল জিপিএই ইস্পাত
- নতুন আইপিও বিধিমালায় সরাসরি তালিকাভুক্তির সুযোগে শেয়ারবাজারে ঝড়
- শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১৮ সংবাদ
- ব্রাজিল বনাম ইতালি: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি শেষ-দেখুন ফলাফল
- বেক্সিমকোর ৭ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- ৯টি এনবিএফআই অবসায়নের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- পাঁচ ব্যাংকের কর্মীদের বেতন-ভাতা কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক
- আইসিবি'র ৪৫০৫ কোটি টাকার লোকসান গোপন
- জিপিএইচ ইস্পাতের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আগ্রহে ৫ কোম্পানির শেয়ার
- প্রিপেইড মিটারের চার্জ ও ভাড়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো বিদ্যুৎ বিভাগ
- নয় বছর বন্ধ কারখানা চালু করতে চায় বিডি ওয়েল্ডিং














