ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

পাঁচটি ব্যাংকের অর্থপাচারে জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত করবে আইএমএফ

২০২৪ জুন ২৮ ২২:৫১:৪৯
পাঁচটি ব্যাংকের অর্থপাচারে জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত করবে আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্দেহভাজন অর্থপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশের পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে জড়িতের থাকার বিষয়ে তদন্ত করবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আইএমএফ বিষয়টিকে 'স্ট্রাকচারাল বেঞ্চমার্ক' বলে অভিহিত করছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অর্থপাচার বন্ধ করার প্রচেষ্টার সঙ্গে তাদের এই উদ্যোগ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত আইএমএফের এক নথিতে বলা হয়, বিষয়টিকে অর্থ পাচারবিরোধী এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে ‘কাঠামোগত বেঞ্চমার্কে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইএসএফ তার কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি করেছে।

পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় কিনা তা পরীক্ষা করতে চায়। যদিও কোন পাঁচটি ব্যাংকের বিষয়ে তদন্ত করবে তা উল্লেখ করেনি আইএমএফ।

আগামী এক বছরের জন্য স্ট্রাকচারাল বেঞ্চমার্কে কিছু বিষয় বাধ্যতামূলক করেছে আইএমএফ। এর মধ্যে রয়েছে- সুদ প্রদান, ভর্তুকি, ঋণ, ইক্যুইটি এবং দায় ব্যতীত কেন্দ্রীয় সরকারের লেনদেনের মূল্যের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তরের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।

পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানো এবং আর্থিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা। দেশ থেকে অবৈধ অর্থের প্রবাহ বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলের নিরর্থক প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে একটি উপযুক্ত পদ্ধতি প্রণয়ন অবশ্যই দেশের আর্থিক খাতের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অবৈধ উপায়ে অর্থপাচারের কারণে আর্থিক ক্ষতির সঠিক পরিমাণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জানা নেই। তারা তথ্য সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি নজরদারি সংস্থা, গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ র প্রায় ৮.২৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে রপ্তানি মূল্যের অতিরিক্ত চালান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো পণ্য আমদানির কারণে।

প্রতিবেদন অনুসারে, এই সময়ে বছরে গড়ে ৬.১৬ বিলিয়ন পাচার হয়েছে। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ ৯.৬৬ বিলিয়ন ডলার।

মানিলন্ডারিং যে ব্যাপক এবং বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে হচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক নেই। সম্প্রতি অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আইএমএফের নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে