ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

আইএলও প্রতিবেদনে পোশাক খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি

২০২৪ জানুয়ারি ২৪ ২২:২১:১৮
আইএলও প্রতিবেদনে পোশাক খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক খাতে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আইএলওর প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়েছে ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ এবং মোকাবিলা’।

আইএলওর প্রতিবেদনটি ‘পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ)’ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ। যৌথভাবে এর অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় কমিশন এবং আইএলও।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে শ্রম আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদা উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যনীতি ২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ গঠন করেছে।

শ্রম আইনের ১০৯ ধারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা প্রদান করে। এই আইন বলছে, সম্মতি ছাড়া কোনো নারীকে রাতে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রে কোনো নারীর শালীনতা বা সম্মান আঘাত করা হয়- এমন কোনো আচরণ থেকে বাধা দেয় এই আইনের ৩৩২ ধারা।

প্রতিবেদনটিতে শ্রম আইনে পরিবর্তনের ফলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে প্রশংসা করা হয়েছে।

২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগ সরকারি-বেসরকারি সকল কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন হয়রানি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে।

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কাঠামো কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে বলেও আইএলওর ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

শেয়ারনিউজ, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে