ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

তলানিতে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চার কোম্পানি

২০২৪ জানুয়ারি ২৩ ১৯:০৫:১৮
তলানিতে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চার কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তলানিতে এসে চার কোম্পানি ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করেছে। কোম্পানি চারটি এক সময়ে বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

তবে সর্বশেষ অর্থবছরে নানা কারণে ডিভিডেন্ড ভালো দিতে পারেনি। তারপরও বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড বঞ্চিত করেনি। কোম্পানিগুলো হলো-ফরচুন সুজ, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, বিবিএস কেবলস ও ভিএফএস থ্রেড লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ফরচুন সুজ

ফরচুন সুজের ফ্লোর প্রাইস ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা। গত রোববার ও সোমবার কোম্পানিটির দর কমেছে সর্বোচ্চ পরিমাণে ১০ শতাংশ করে প্রায় ২০ শতাংশ। আজ কমেছে ৫.৮৬ শতাংশ। তবে প্রথমে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দামে ক্রেতাশুন্য ছিল। তারপর ঘুরে দাঁড়ায়। দিনশেষে ৫.৮৬ শতাংশ কমে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সায় ক্লোজিং হয়। গত তিন দিনে কোম্পানিটির দাম কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

গত ৩১ মার্চ ২০২২ সালে কোম্পানিটির দর ছিল ১৪২ টাকা ৮০ পয়সায়। সেই হিসাবে পৌনে দুই বছরের ব্যবধানে কোম্পানির দর কমেছে ৮৫ টাকা বা ১৪৭ শতাংশ।

আজ ডিএসইতে কোম্পানিটির ১ কোটি ১১ লাখ ৮৬৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে। এটি কোম্পানিটি গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন।

কোম্পানিটি বরাবরই বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার বেশি ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তবে সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স

লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ফ্লোর প্রাইস ২৬ টাকা। রোববার ও সোমবার কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে সর্বোচ্চ পরিমাণে ১০ শতাংশ করে প্রায় ২০ শতাংশ। আজও কোম্পানিটির শেয়ার তলানিতে লেনদেন হয়। পরে ঘুরে দাঁড়ায়। দিনশেষে ৯০ পয়সা বা ৪.২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ২২ টাকায়।

২০২২ সালের ৮ ফ্রেব্রুয়ারি কোম্পানিটির দর ছিল ৪০ টাকা ৬০ পয়সায়। সেই হিসাবে প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আজ ডিএসইতে কোম্পানিটির ৫৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

বিবিএস কেবলস

বিবিএস কেবলসের ফ্লোর প্রাইস ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। রোববার ও সোমবার কোম্পানির দর কমেছে সর্বোচ্চ পরিমাণে ১০ শতাংশ করে প্রায় ২০ শতাংশ। আজ শুরুতে কোম্পানিটির দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। তবে কিছুক্ষণ পরেই উঠে দাঁড়ায়। শেষবেলায় ৬.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৩৮ টাকায়। তিন দিনে শেয়ারটির দাম কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৭টি।

২০২২ সালের ৩ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬২ টাকা ৫০ পয়সায়। সেই হিসাবে দেড় বছরের কম সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির দর কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তবে এর আগের বছরগুলোতে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ভিএফএস থ্রেড

ভিএফএস থ্রেডের ফ্লোর প্রাইস ২২ টাকা ২০ পয়সা। রোববার ও সোমবার কোম্পানির দর কমেছে সর্বোচ্চ পরিমাণে ১০ শতাংশ করে প্রায় ২০ শতাংশ। আজ সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দামে লেনদেন হয়ে পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। শেষবেলায় ৯.৪৪ শতাংশ দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। এই সময়ে কোম্পানিটির অনেক ক্রেতা দেখা যায়। গত তিন দিনে কোম্পানিটির দাম কমেছে ২৯ শতাংশের বেশি। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ লাখ ৯৪ হাজার ১০০টি।

২০২২ সালের ১৪ মার্চর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৭ টাকায়। সেই হিসাবে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির দর কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছরগুলোতে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে