ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বিএনপির বর্ধিত সভায় ১০ সিদ্ধান্ত

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৪:৩৭:১৪
বিএনপির বর্ধিত সভায় ১০ সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে দলের বর্ধিত সভা আয়োজন করেছে, যা বিশেষ রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে। এই সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এখানে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলোর বিস্তারিত:

১. সভায় মহান একুশে, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদদের তালিকা প্রণয়ন, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য প্রদান চাওয়া হয়।

২. খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা হয় এবং তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকল নেতা-কর্মী আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন, তার কারাভোগ এবং তার ভূমিকার প্রশংসা করা হয়।

৩. তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল সমূহের ঐক্যের প্রশংসা করা হয়। তিনি ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত এবং ১ দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বড় ধরনের ঐতিহাসিক আন্দোলন চালিয়ে যান।

৪. খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন ২০৩০ এবং ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার আলোকে সরকার সংস্কারের জন্য কাজ করা হবে। এসব সংস্কার নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. বিএনপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় যাতে এক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। জনগণকে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

৬. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং সরকারের কাছে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

৭. দেশ থেকে ফ্যাসিবাদী সরকার এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে গণবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং সরকারের কাছে এসব অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

৮. বিএনপি এবং বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

৯. দলের সকল নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি, অনাচার এবং আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং জনগণের জন্য জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

১০. বিএনপি নেতাদের নির্বাচন এবং আন্দোলনের প্রস্তুতির জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণের আশা পূরণের জন্য দল প্রস্তুত থাকে।

এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল এবং নির্বাচনের দিকে তাদের প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দলটি আশা করছে যে এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে তারা জনগণের সমর্থন ফিরে পাবে এবং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সফল হবে।

আদনান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে