টাকা, সময়, তদন্ত—তনু হত্যায় নতুন মোড়
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২০ মার্চ, ২০১৬ সালের এইদিনে খুন হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পেরিয়ে ১০-এ পা দিলে এখনো বিচারের প্রতীক্ষায় দিন গুনছে তার পরিবার। ৯ বছর আগে এমন এক সন্ধ্যায় বাসা থেকে প্রাইভেট পড়াতে বের হন তনু। কিন্তু ফেরেন লাশ হয়ে। দীর্ঘ এ সময় যত রাত গড়িয়েছে, ততই প্রতীক্ষা বেড়েছে, কিন্তু তনুর আর ঘরে ফেরা হয় না। এখনো তার জন্য অজানা এক প্রতীক্ষায় দিন কাটাচ্ছে মা আনোয়ারা বেগম।
তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তখন দেশ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিচারের দাবিতে শোরগোল ওঠে। দেশ-বিদেশে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মামলা-মোকাদ্দমা চললেও এখনো এ বিচারপ্রক্রিয়া আলোর পথ দেখেনি। আজও বিচারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দিন পার করছেন তনুর পরিবার।
ঘটনার ৯ বছর পরেও তনুর পরিবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগের পর তাদের মধ্যে অজানা একটি ভয় ফুটে ওঠে। বারবার নিশ্চিত হতে চেয়েছিল তারা আসলেই সাংবাদিকের সাথে কথা বলছেন কি না। সন্দেহ কিছুটা কমলে আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘৯ বছর ধরে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছি। জীবদ্দশায় আমার মেয়ের বিচার দেখার ভাগ্য আমার হবে না। একটি মাত্র মেয়ে ছিল আমার।’ এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে বড় করে তুলছিলাম আমার মেয়েকে। তিন সন্তানের মধ্যে তনু ছিল একমাত্র মেয়ে। অভাবের সংসার, কিন্তু তনুকে অভাব বুঝতে দিইনি। সুস্থ অবস্থায় আমার মেয়ে বের হয়ে যায়, ফিরল নিথর হয়ে। এর থেকে কষ্ট-যন্ত্রণা একটা মায়ের আর কী হতে পারে।’
মামলা ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে আনোয়ারা বেগম বলেন, মামলাটা কী অবস্থায় আছে জানি না। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে না। ৯ বছর হয়ে গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) কখন বদলে যায়, কখন কী করে—তা আমরা কিছুই জানি না। আগে ছিলেন মুজিবুর, এখন নাকি নতুন আইও তরিকুল। তাকে আমি ফোন দিয়েছিলাম, কিছু বলেননি মামলার ব্যাপারে।’
তনু হত্যার সন্দেহভাজদের বিষয়ে আনোয়ারা বলেন, ‘আমরা সবাইকে দোষ দিচ্ছি না। যে দু’জন প্রধান সন্দেহভাজন, তাদের নিরপেক্ষভাবে জিজ্ঞাসা করলে আমার মেয়ের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা যাবে। তখন সঙ্গে সঙ্গে বিচার হবে।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘৯ বছর যারা মামলার আইও ছিলেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক। ওদেরও বিচার করতে হবে। যতগুলো আইও ছিল, সবাই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিদের লোক। কেউ আমাদের সহায়তা করছে না। আমাদের যা বলার, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলব। আমরা পূর্ণ আশাবাদী, তাকে সব বলার পর মেয়ের বিচার পাব।’
মামলার বিষয়ে তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে তার (অভিযুক্ত ব্যক্তির) বাসায় পড়াতে গিয়েছিল। এরপর মেয়েটা আর ফেরত আসেনি। আমি যখন মেয়ের খোঁজে তার বাসায় যাই, তখন তিনি আমাকে কিছু বলেননি। এমনকি আজ পর্যন্ত তিনি বলেননি, আমার মেয়ের সঙ্গে কি হয়েছে, কোথায় গিয়েছিল।’
ইয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি এখনো। সে তো একটা মার্ডার মামলার আসামি। সঙ্গে তার স্ত্রীও যুক্ত। আমরা গণহারে দোষারোপ করছি না। ওই দু’জনকে ধরলেই সবকিছু জানা যাবে।’
মামলায় কারো নাম থাকার বিষয়ে ইয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসের ভেতরে থাকি। মামলা যদি আমি করতাম, তাহলে নাম উল্লেখ করে দিতাম। কিন্তু মামলা করছে আমার অফিস। কিছুদিন পরপর আইও পাল্টায়। অথচ এটা পাল্টানোর কথা ছিল আমার। কিন্তু পাল্টায় তারা।’
সব কথা প্রকাশ করায় জীবনের হুমকি রয়েছে জানিয়ে ইয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চাই, যা বলার সেখানে বলব। তনুর মা হত্যাকারীদের ফাঁসি চায়—এটা নিউজের মধ্যে সবাইকে বলবেন। আমাদের যেন ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা বড় অসহায় অবস্থায় আছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু নিয়মিত সেনানিবাসের একটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন। সেই বাসার আশপাশের জঙ্গলে তার লাশ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করে পুলিশ। লাশের দুই দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। সে সময় তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যায়।
তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জোরালো আন্দোলন করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। কিন্তু কিছুদিন পরই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়। এ ঘটনাতে যে মামলাটি হয়, তার তদন্তের দায়িত্ব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাহিনীর কাছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো মামলার কূলকিনারা মেলেনি।
আরিফ/
পাঠকের মতামত:
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি: নির্বাচন নিয়ে ফের গভীর শঙ্কা
- বিএসইসির নতুন নিয়মে অস্তিত্ব সংকটে ৩১ মিউচুয়াল ফান্ড
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বন্ডে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হঠাৎ তুঙ্গে!
- বেক্সিমকো সুকুকে বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ: ৪ বছরে রূপান্তর মাত্র ৬ শতাংশ
- গালফ জায়ান্টস বনাম এমআই এমিরেটস: বল করছেন সাকিব-সরাসরি দেখুন
- নিয়ম না মানায় ডিএসই ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডিং রাইট বাতিল
- জাইমা রহমানের পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা
- বিপিএল দ্বাদশ আসরের আগে দুঃসংবাদ, সরে গেলেন তিন বিদেশি ক্রিকেটার
- স্বল্পমেয়াদি ভিসা আবেদন আরও সহজ করল চীন
- প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বড় সুখবর দিল মন্ত্রণালয়
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন রুমিন ফারহানা
- বাংলাদেশ ইস্যুতে এবার কলকাতা ও মুম্বাইয়ে বিক্ষোভ
- নির্বাচনে লড়বেন আহমেদ শরীফ
- সীমান্তে বিএসএফ জওয়ান গু-লিবিদ্ধ
- জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ, নি-হ-ত ৫
- ভারত বাংলাদেশে নজর দিলে, পাকিস্তানের মিসাইল এর জবাব দেবে
- ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত
- ছয় বলে পাঁচ উইকেট: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নতুন ইতিহাস
- একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
- নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: আইজিপি
- মেঘনা পেট্রোলিয়ামের বড় আর্থিক অসঙ্গতি, নিরীক্ষকদের উদ্বেগ
- রানার অটোমোবাইলসের ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উগ্রপন্থিদের বিক্ষোভ
- সড়ক দু’র্ঘট’নায় আহত মেসির বোন, স্থগিত বিয়ে
- হাদি হ-ত্যা মামলা: সহযোগী কবিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড
- বিক্রেতা সঙ্কটে হল্টেড ৪ কোম্পানি
- জোট সমঝোতায় আসন হারালেন খালেদা জিয়ার আপন ভাগনে
- মার্কেট মুভারে নতুন তিন কোম্পানি
- 'এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে নামল আরও এক কোম্পানি
- 'এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে নামল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ২৩ ডিসেম্বর ব্লকে ৬ কোম্পানির বড় লেনদেন
- ২৩ ডিসেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৩ ডিসেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৩ ডিসেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- সামান্য পতনে থামেনি লেনদেন, স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত বাজারে
- বৃহস্পতিবার যাত্রীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান বিমানের
- গুম-নির্যাতন মামলায় ১৭ আসামির বিচার শুরু
- সরকারি চাকরির বয়সসীমা নিয়ে নতুন অধ্যাদেশে যা আছে
- প্রণয় ভার্মাকে ডেকে বাংলাদেশি মিশনে হামলার প্রতিবাদ
- রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাশে সবসময় থাকবে ইসি: সিইসি
- বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা, ২৪ ঘণ্টার জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি
- নখ কাটার সময় যে ৮টি ভুল হতে পারে ক্ষতির কারণ
- চার আসনে জমিয়তে উলামায়ের সাথে বিএনপি'র সমঝোতা
- এজিএম স্থগিত করল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মক্কা-মদিনার মুসল্লিদের প্রিয় মুয়াজ্জিনের বিদায়
- শীতে হাঁটুর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ৫ উপায়
- প্রথম আলো–ডেইলি স্টার হামলায় আরও ৯ জন গ্রেপ্তার
- ফের ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ঢাকার বাতাস হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী, বাঁচতে হলে যা করণীয়
- নিরাপত্তার অজুহাতে গ্রিনল্যান্ড দখল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- ব্লুমবার্গ সূচকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ১৬ কোম্পানি
- পুবালী ব্যাংকে ক্ষমতার লড়াই ও অনিয়মের মহোৎসব
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র
- বিএসইসির বিশেষ সুবিধা পেল শেয়ারবাজারের ৭ প্রতিষ্ঠান
- শেয়ারবাজারে নতুন নামে আসছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ৫৪ বছরের ইতিহাস ভাঙল বিএসসি; অনন্য উচ্চতায় শিপিং কর্পোরেশন
- মার্জিন রুল চ্যালেঞ্জ: দ্বিতীয় রিট আবেদন খারিজ, শুনানি চলবে প্রথমটির
- পে স্কেল নিয়ে নাটকীয় মোড়, সুপারিশ জমা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য সুখবর: ডিসেম্বরের মধ্যেই টাকা ফেরতের নির্দেশ
- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের নতুন এমডি উলফাত করিম
- একীভূত ৫ ব্যাংকে মালিকদের কর্তৃত্ব শেষ, শেয়ারমূল্য শূন্য
- আলোচনায় থাকলেও যেসব ক্রিকেটার নিলাম থেকে দল পাননি
- ভারতীয় ডাম্পিং চাপে হুমকির মুখে ২৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক শিল্প
- ডিভিডেন্ড অনুমোদনে বিএসইসির দ্বিমুখী নীতি; বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ








.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)

.jpg&w=50&h=35)
