শেয়ারবাজারের শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজ রিলায়েন্স ফাইন্যান্স (আভিভা ফাইন্যান্স) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান আভিভা ইক্যুইটিতে ভয়াবহ অনিয়ম ও কারসাজি হয়েছে। সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) ঘাটতি, নেগেটিভ অ্যাকাউন্টে ঋণ প্রদান, ডিলার অ্যাকাউন্ট ও নেগেটিভ অ্যাকাউন্টে শেয়ার ডাম্পিং, অতিরিক্ত দামে প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়, সীমাহীন শেয়ার কারসাজি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।
এসব ঘটনার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পরিদর্শক দলের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করছেন শহিদুল ইসলাম।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিশন বলেছে, এর আগেও কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। হাউজগুলোর কারসাজি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। এরপর পরবর্তী সময়ে কারসাজি রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন চলমান।
ডিএসইর ৬২নং ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি আভিভা ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সম্প্রতি পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠায় ডিএসই। প্রতিবেদনে কোম্পানির এমডি মো. শহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততায় সীমাহীন অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি ছাড়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি-এমন কোম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনে কোম্পানির অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন মো. শহিদুল ইসলাম। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ভুল তথ্য দিয়ে আইন অমান্য করে নেগেটিভ ইক্যুইটি অ্যাকাউন্টে দেওয়া ঋণের ওপর সুদ ধার্য করে আর্থিক প্রতিবেদনে আয় বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। এছাড়া বোর্ড মিটিং ও বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) নামে অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
গত ২০ জুলাই কোম্পানিটিতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করলে এসব অনিয়ম এবং বেআইনি কার্যক্রম বেরিয়ে আসে। কিন্তু কোম্পানি সব সময় ডিএসইকে যে তথ্য দিয়েছে, তাতে সবকিছু সঠিক দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওইসব তথ্য সঠিক ছিল না। ডিএসইর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুন সিকিউরিটিজ হাউজটির সিসিএতে ঘাটতি ছিল ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। ২৫ মে ঘাটতি ছিল ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। কিন্তু সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে সিসিএতে কোনো ঘাটতি বেআইনি।
সিসিএতে ঘাটতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০২২ সালের ২২ মার্চ বিএসইসি এক নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রাহক অ্যাকাউন্টে ঘাটতি থাকা কোম্পানিগুলোর ফ্রি লিমিট বন্ধ থাকবে। এছাড়া আরও কিছু শাস্তির কথা বলা হয় নির্দেশনায়। এর মধ্যে রয়েছে-স্টক-ব্রোকার, স্টক-ডিলার এবং ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্টের লাইসেন্স নবায়ন না করা, নতুন শাখা ও বুথ খোলার অনুমতি বন্ধ এবং শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ফলে সিসিএ হিসাবে ঘাটতির মাধ্যমে কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০-এর রুল ৬(১) ও ৬(৫) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০-এর বিধি ১১ এবং বিধিমালার দ্বিতীয় তফশিলের আচরণবিধি ১ লঙ্ঘন করেছেন।
এদিকে সিসিএতে ঘাটতি ধরা পড়ায় আভিভা ইক্যুইটি তড়িঘড়ি করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি ব্যাংক থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা সিসিএ হিসাবে জমা দিয়ে বাকি ৫ কোটি টাকা রাখা হয় কোম্পানির হিসাবে। ডিএসই বিষয়টি বুঝতে পেরে ঋণের অনুমোদনপত্র এবং আভিভা ইক্যুইটির বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের কপি চেয়ে চিঠি দেয়। তবে প্রথমদিকে কোনো কাগজপত্র দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। আর এভাবে স্টক এক্সচেঞ্জকে তথ্য না দেওয়া আইনের লঙ্ঘন।
এরপর দ্বিতীয় দফা উদ্যোগ নিয়ে ব্রোকারেজ হাউজটি থেকে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে ডিএসই। কিন্তু কাগজপত্রে আসল তথ্য লুকানো হয়। এক্ষেত্রে গত ২৫ মে স্টক এক্সচেঞ্জের সিসিএ মডিউলে দেওয়া তথ্যে পেঅ্যাবল (গ্রাহক পাবে) দেখানো হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ১৮ জুন দেখানো হয় ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
কিন্তু তদন্তকালে ডিএসইর পরিদর্শক দল ২৫ মে প্রকৃত পেঅ্যাবল পেয়েছে ৯ কোটি ২৪ লাখ এবং ১৮ জুন ৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আবার ২০ জুলাই ডিএসইর পরিদর্শক দল প্রতিষ্ঠানটির জমা দেওয়া তথ্য এবং বাস্তবে বিশাল ফারাক খুঁজে পায়। এই ধরনের তথ্য গোপন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-র ১৮ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ডিএসইর প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, কোম্পানির অনিয়ম ঢাকার জন্য নেগেটিভ ইক্যুইটি হিসাবকে পজিটিভ এবং পজিটিভ অ্যাকাউন্টকে নেগেটিভ হিসাবে দেখিয়েছে।
নিয়ম অনুসারে নেগেটিভ ইক্যুইটি অ্যাকাউন্টে ঋণ দেওয়ার বিধান নেই। কিন্তু আইন অমান্য এবং পরিচালনা পর্ষদের ছাড়া ৪০ কোটি ২৪ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন এমডি শহিদুল ইসলাম। পরিদর্শক দলকে এই টাকার উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া পরিচালনা পর্ষদের ২০২০ সালের সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে এই ঋণের বিপরীতে ৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা সুদ ধার্য করে আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির আয় বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আয়ের বিপরীতে সরকারের কোষাগারে করও জমা দিয়েছেন তিনি। এতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা আরও দুর্বল হয়েছে।
এই ধরনের কাজ মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর ৫ ও ৬ ধারায় অপরাধ। কারণ ওই ধারায় উল্লেখ আছে নেভেটিভ ইক্যুইটি অ্যাকাউন্টে ঋণ দেওয়া নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে কোম্পানিটিকে শুনানিতে ডাকে ডিএসই। শুনানিতে কোম্পানির হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ গোলাম সরওয়ার এই বিষয়ে এমডিকে দায়ী করে লিখিত দিয়েছেন। এরপর গত ৩ ডিসেম্বর ডিএসইর পক্ষকে এমডি শহিদুল ইসলাম চিঠি দিয়ে কোম্পানিতে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
শেয়ারনিউজ, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
পাঠকের মতামত:
- নির্বাচনের আগে ‘দেখার মতো দুই কাজ’ চায় এনসিপি
- ১৩টি পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে প্রশাসন
- সায়মা ওয়াজেদ আ.লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক জানা গেল সত্যতা
- সেই আবিদের নিয়োগ বাতিল
- ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘র’ এর ঢাকার স্টেশন চিফের নাম প্রকাশ
- সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা
- কুমিল্লায় জামায়াতের চার প্রার্থী ঘোষণা
- সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্ত
- ৪ বিয়ের ব্যাখ্যা দিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখোমুখি বৃদ্ধ
- ভাইরাল ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
- ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
- কাদের- হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন
- ন্যাশনাল কমেডি পার্টি হয়ে যাচ্ছে এনসিপি
- ছাত্রলীগ-আ. লীগের মিছিল প্রসঙ্গে ডিএমপির বক্তব্য
- ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবে সাফ ‘না’ বিএনপির
- ছয় কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেখ মুজিব নন, ইতিহাসের প্রথম বঙ্গবন্ধু ছিলেন যিনি
- ২০২৫ সালে মার্কিন ছাত্র ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন
- পর্দায় নয় বাস্তবে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
- ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- যে কারণে বিয়ে করেননি নরেন্দ্র মোদি
- যেসব শর্ত না মানলে হতে পারবেন না ওসি
- হাসিনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে ভারতীয়রা
- টাকা লুটের মেশিন বন্ধ থাকায় দিশেহারা 'সাড়ে হাজারের' জয়
- পরীমনির সাথে সাবেক আইজিপির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত
- প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ১৬ তারকাকে আসামি করলেন সেই পুলিশ সদস্য
- রাতে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে উভয় সংকটে বাংলাদেশ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন যিনি
- ইউনূস সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে আমরণ অনশন
- ইসরাইলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যা বলল হামাস
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
- হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ঘোষণা ধর্ম উপদেষ্টার
- সপ্তাহের ব্লক মার্কেটে ঝলক দেখালো তিন কোম্পানি
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এই দুটি ফেসপ্যাক
- ভিসা অফিসারের মাত্র ৩ প্রশ্নেই ধরা খেলেন ভারতীয়
- নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমিরের সতর্ক বার্তা
- বাংলাদেশকে যে আহ্বান জানাল ভারত
- যে কারণে ইউরোপে বাংলাদেশিদের আশ্রয়ের সুযোগ কমছে
- সন্তান নয়, শখই বড় : সন্তান বিক্রির অভিযোগে তোলপাড়
- হাসনাতের শিষ্টাচার মন্তব্যে এনসিপি নেতা মুশফিকের প্রতিক্রিয়া
- ফু-ওয়াং ফুডসের সাবেক এমডি ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা
- চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে আইএমএফের নতুন সিদ্ধান্ত
- ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তনে ইউনেস্কোর সতর্কতা
- শিক্ষকদের জন্য সুখবর
- ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- বাংলাদেশের কর্মসূচি নিয়ে যা বললো ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- ১২ কর্মকর্তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ
- ক্ষমা চেয়ে ৩ নেতার পদত্যাগ
- সবকিছুর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী: ভারতীয় মিডিয়া
- ওবায়দুল কাদেরের নতুন সদর দপ্তরে না যাওয়ার রহস্য ফাঁস
- ৪ দেয়ালে বন্দি হাসিনার মনে কালবৈশাখি ঝড়
- শেয়ারবাজারে ডিভিডেন্ড অর্থ ব্যবহারে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম
- ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ৯ শেয়ার, বিপাকে বিনিয়োগকারীরা
- টাকা লুটের মেশিন বন্ধ থাকায় দিশেহারা 'সাড়ে হাজারের' জয়
- তিতাস গ্যাসের নাম পরিবর্তন
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিলেন ইকবাল
- সেভেন সিস্টার্স নিয়ে পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার
- বিএসএমএমইউর নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি
- ‘জি এম কাদের অচিরেই তার কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবেন’
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে দুই কোম্পানি