ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়ানক অভিযোগ

২০২৫ মার্চ ২৭ ০৯:৪৪:৫৭
জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়ানক অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৩ সাল-এ গণজাগরণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন স্বৈরাচারের এক দোসর অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল। কিন্তু, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! শাহবাগ আন্দোলনের সেই মঞ্চে দম্ভ দেখানো অধ্যাপক আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পরিচিত জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা এবং তরুণ প্রজন্মকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে গড়ে তোলার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। খুব বেশিদিন আগেই অন্যের বই নকলের অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের একটি অংশ ইন্টারনেট থেকে কপি করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পরে অবশ্য জাফর ইকবাল স্বীকার করেন, বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।

জাফর ইকবাল এক সময় নিশি রাতের ভোটের আগে ইভিএমের বৈধতা দিতে মিথ্যাচার করেছিলেন। এরপর, ৫ আগস্ট ২০২৪-এ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে আছেন। তার অবস্থান সম্পর্কে দেশের জনগণের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।

কয়েক মাস আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গণহত্যায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর আগে, তার মতামত প্রকাশের পর, ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

১৪ জুলাই রাতে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। স্লোগান ছিল— “তুমি কে, আমি কে, রাজাকার!” "রাজাকার কে বলেছে?" এই স্লোগানগুলির মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেন, জাফর ইকবালের মতো স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল ফেসবুকে একটি পোস্টে আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করেছিলেন। ১৬ জুলাই, নিজের ওয়েবসাইটে একটি ছোট মতামত লিখে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলেন, "এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়, তবে মনে হয় আর কখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না।" তার এই মন্তব্যে আবারো বিপ্লবী ছাত্রদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হয়।

আজ, ৫ আগস্টের পর, শাসক দলের দোসর অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল পালিয়ে রয়েছেন। ছাত্রদের বিরুদ্ধে কটাক্ষকারী এই অধ্যাপক কোথায় আছেন, তা এখন পর্যন্ত অজানা। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো গুরুতর এবং তার পলায়ন দেশের জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, দেশের সাধারণ মানুষ জানে না, কবে তাকে গ্রেফতার করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার কীভাবে হবে।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে