তাসনিম জারার চিঠির জবাব দিলেন সারজিস
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারার চিঠির জবাব দিয়েছেন দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ জবাব দেন।
সারজিস আলম একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। তিনি নিজের ফেসবুক পেজে এ চিঠিটি শেয়ার করেন, যা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
প্রিয় তাসনিম জারা আপু,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার খোলা চিঠির উত্তরের পূর্বে দুটি বিষয় বলতে চাই।
প্রথমত, আমাদের চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা থেকে সবার আগে যে বিষয়টি বাদ দিতে হবে সেটি হচ্ছে- একজন নতুন করে জাতীয় রাজনীতিতে এসেছে মানেই তার পরিবার সহায়-সম্বলহীন, অসহায়, নিঃস্ব না। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতারা চাঁদাবাজি, লুটপাট করে এসব কাজ করেছে বলে, একই কাজ করে অন্যরাও সেটা করবে বিষয়টি তেমনও নয়। আমার এই মুহূর্তে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করার সামর্থ্য নেই মানে এই নয় যে আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের সেই সামর্থ্য নেই।
দ্বিতীয়তঃ কতিপয় সোশ্যাল মিডিয়া বুদ্ধিজীবী তাদের জায়গা থেকে যেভাবে রাজনীতিকে কল্পনা করেন সেটা কোন আদর্শ পৃথিবীর চিত্র হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো বৈচিত্র্যময় চিন্তাধারা ধারণকারী জনগণ সম্বলিত একটি দেশের এই মুহূর্তের চিত্র নয়। এমনকি বাংলাদেশের একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারের সাথে অন্য একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারেরও পুরোপুরি মিল নেই। তাই আমার চোখের সামনে আমার আসনে যা দেখছি সেটা দিয়ে অন্য আসনেও তুলনা করা যায় না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগত অবস্থান বিবেচনায় সেই ইকুয়েশনগুলো ভিন্ন হয়।
আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই। কিন্তু নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা যেটা কল্পনা করি সেটা ছয় মাসের মধ্যে এপ্লাই করলে অলমোস্ট ৯৫+% ক্ষেত্রে জামানত হারানোর সম্ভাবনা থাকবে। তার মানে কি আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই না? অবশ্যই চাই।
কিন্তু সেটা কখনো ছয় মাসের ব্যবধানে 180 ডিগ্রি উল্টে যাবে না বরং সময়ের সাথে সাথে ১০% ২০% ৩০% এভাবে পরিবর্তিত হবে। এক সময় হয়তো শতভাগ নতুন বন্দোবস্ত দেখতে পাবো।
ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয়। আপনার প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করার জনবল এবং সামর্থ্য আপনার যদি না থাকে কিংবা আপনি দেখাতে না পারেন তাহলে মাঠের রাজনীতিতে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। অন্য নেতা তো দূরের কথা সাধারণ জনগণও আপনাকে গোনায় ধরবে না। কারণ মানুষ স্বভাবতই ক্ষমতামুখী। আমাদের যেমন নতুন বন্দোবস্তের দিকে যেতে হবে তেমনি মাঠের রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য পূর্বের যেই বন্দোবস্তগুলো চাইলেই এখনই ছুঁড়ে ফেলা সম্ভব নয় সেগুলোকেও পাশে রেখে আপাতত চলতে হবে। যেদিন সেগুলোও ছুঁড়ে ফেলার সুযোগ আসবে সেদিন সেগুলোর ছুড়ে ফেলতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক বুদ্ধিজীবী তাদের যে আইডিয়াগুলোকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ দিয়ে স্টাবলিশ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দেখায়, তারা সেই প্রসেসে বাংলাদেশের এই মানসিকতার জনগণের কাছে- এই ইলেকশনে মাঠে নামলেও জামানত হারাবে, একই প্রসেসে ৫ বছর পরে ইলেকশন করলেও জামানত হারাবে। তারা শুধু আপনার পিছেই লাগতে পারে কিন্তু কোন প্রসেসে আপনি মাঠে ইলেকশন করে জিতে আসতে পারবেন সেগুলো আপনাকে দেখাতে পারেনা কিংবা দেখালেও অনেক ক্ষেত্রে সেগুলোর মাঠের বাস্তবতা নেই।
আমরা তো অনেকেই চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মামলা বাণিজ্য, হয়রানি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেললাম। কিন্তু এই অভ্যুত্থানেরই একটি অংশ আবার ওই একই কাজগুলো করছে। আটকাতে পেরেছেন কি? পারেননি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আপনারা অনেকে কথাও বলতে পারছি না। আর বললেও তারা সে কথাকে কানে নেয় না। কথা বলতে পারছি সেই অল্প কিছু নতুন করে চিন্তা করা মানুষের বিরুদ্ধে যারা এখনো সেই কথা বলার স্পেসটা দেয় এবং সেই কথাগুলোকে রিসিভ করে।
এবার কিছু তিক্ত কথা বলতে চাই ।বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন করতে হবে ।এটা আবশ্যক। কিন্তু যতদিন না আমজনতা তাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করছে ততদিন আপনি সরাসরি নতুন চিন্তাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে গেলে সময়ের সাথে সাথে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। আপনি আজকে একটি আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিন। কাল থেকে সেই আসনের অসংখ্য মানুষ আপনার কাছে আসবে নানা তদবির নিয়ে আবদার নিয়ে। এর মধ্যে অনেক অনৈতিক চাওয়া থাকবে। আবার যাদের আবদার পূরণ করতে পারবেন না তারা আপনার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করবে। অথচ তারা একটিবারও ভাববে না আপনার সেই সামর্থ্য আছে কিনা, বিষয়গুলো ন্যায় সঙ্গত কিনা। তারা শুধু নিজের স্বার্থটা ভাববে। আপনি দিলে আছে, না দিলে নাই।
তার উপর এখন আপনার কোন অথরিটিও নাই। এক্ষেত্রে সরাসরি নতুন বন্দোবস্ত এপ্লাই করে দীর্ঘ মেয়াদে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার চেয়ে সাময়িকভাবে নতুন পুরনো মিশেলে এগিয়ে গিয়ে যদি আপনি একটি অথরিটি পান কিংবা নির্বাচিত হতে পারেন তখন বরং দীর্ঘমেয়াদে নতুন বন্দোবস্তের কালচার চালু করা এবং সেগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার সুযোগ বেশি থাকবে। আমি এটাকে মন্দের ভালো মনে করি।
আর আমার এলাকায় ফেরার সময় এত গাড়ি, এত মানুষ; তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং ভালোবাসা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করবে এবং আমাকে সঙ্গ দিবে এটা আমিও কল্পনা করিনি।
আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং জেলার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্ধেকের বেশি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। যেগুলোর ব্যয় আমাদের বহন করতে হয়নি। বাকি প্রায় ৫০ টার মতো গাড়ির ৬০০০ করে যে তিন লাখ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে সে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার পরিবারের আরো ৫০ বছর আগেও ছিল। এবং আমি বিশ্বাস করি অন্য কেউ না; শুধু আমার দাদা আমার জন্য যতটুকু রেখে গিয়েছেন, সেটা দিয়ে আমি আমার ইলেকশনও করে ফেলতে পারব ইনশাআল্লাহ।ধন্যবাদ।
মুসআব/
পাঠকের মতামত:
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি: নির্বাচন নিয়ে ফের গভীর শঙ্কা
- বিএসইসির নতুন নিয়মে অস্তিত্ব সংকটে ৩১ মিউচুয়াল ফান্ড
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বন্ডে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হঠাৎ তুঙ্গে!
- বেক্সিমকো সুকুকে বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ: ৪ বছরে রূপান্তর মাত্র ৬ শতাংশ
- গালফ জায়ান্টস বনাম এমআই এমিরেটস: বল করছেন সাকিব-সরাসরি দেখুন
- নিয়ম না মানায় ডিএসই ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডিং রাইট বাতিল
- জাইমা রহমানের পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা
- বিপিএল দ্বাদশ আসরের আগে দুঃসংবাদ, সরে গেলেন তিন বিদেশি ক্রিকেটার
- স্বল্পমেয়াদি ভিসা আবেদন আরও সহজ করল চীন
- প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বড় সুখবর দিল মন্ত্রণালয়
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন রুমিন ফারহানা
- বাংলাদেশ ইস্যুতে এবার কলকাতা ও মুম্বাইয়ে বিক্ষোভ
- নির্বাচনে লড়বেন আহমেদ শরীফ
- সীমান্তে বিএসএফ জওয়ান গু-লিবিদ্ধ
- জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ, নি-হ-ত ৫
- ভারত বাংলাদেশে নজর দিলে, পাকিস্তানের মিসাইল এর জবাব দেবে
- ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত
- ছয় বলে পাঁচ উইকেট: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নতুন ইতিহাস
- একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
- নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত: আইজিপি
- মেঘনা পেট্রোলিয়ামের বড় আর্থিক অসঙ্গতি, নিরীক্ষকদের উদ্বেগ
- রানার অটোমোবাইলসের ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উগ্রপন্থিদের বিক্ষোভ
- সড়ক দু’র্ঘট’নায় আহত মেসির বোন, স্থগিত বিয়ে
- হাদি হ-ত্যা মামলা: সহযোগী কবিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড
- বিক্রেতা সঙ্কটে হল্টেড ৪ কোম্পানি
- জোট সমঝোতায় আসন হারালেন খালেদা জিয়ার আপন ভাগনে
- মার্কেট মুভারে নতুন তিন কোম্পানি
- 'এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে নামল আরও এক কোম্পানি
- 'এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে নামল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ২৩ ডিসেম্বর ব্লকে ৬ কোম্পানির বড় লেনদেন
- ২৩ ডিসেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৩ ডিসেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৩ ডিসেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- সামান্য পতনে থামেনি লেনদেন, স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত বাজারে
- বৃহস্পতিবার যাত্রীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার আহ্বান বিমানের
- গুম-নির্যাতন মামলায় ১৭ আসামির বিচার শুরু
- সরকারি চাকরির বয়সসীমা নিয়ে নতুন অধ্যাদেশে যা আছে
- প্রণয় ভার্মাকে ডেকে বাংলাদেশি মিশনে হামলার প্রতিবাদ
- রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাশে সবসময় থাকবে ইসি: সিইসি
- বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা, ২৪ ঘণ্টার জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি
- নখ কাটার সময় যে ৮টি ভুল হতে পারে ক্ষতির কারণ
- চার আসনে জমিয়তে উলামায়ের সাথে বিএনপি'র সমঝোতা
- এজিএম স্থগিত করল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মক্কা-মদিনার মুসল্লিদের প্রিয় মুয়াজ্জিনের বিদায়
- শীতে হাঁটুর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ৫ উপায়
- প্রথম আলো–ডেইলি স্টার হামলায় আরও ৯ জন গ্রেপ্তার
- ফের ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ঢাকার বাতাস হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী, বাঁচতে হলে যা করণীয়
- নিরাপত্তার অজুহাতে গ্রিনল্যান্ড দখল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- ব্লুমবার্গ সূচকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ১৬ কোম্পানি
- পুবালী ব্যাংকে ক্ষমতার লড়াই ও অনিয়মের মহোৎসব
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র
- বিএসইসির বিশেষ সুবিধা পেল শেয়ারবাজারের ৭ প্রতিষ্ঠান
- শেয়ারবাজারে নতুন নামে আসছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ৫৪ বছরের ইতিহাস ভাঙল বিএসসি; অনন্য উচ্চতায় শিপিং কর্পোরেশন
- মার্জিন রুল চ্যালেঞ্জ: দ্বিতীয় রিট আবেদন খারিজ, শুনানি চলবে প্রথমটির
- পে স্কেল নিয়ে নাটকীয় মোড়, সুপারিশ জমা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য সুখবর: ডিসেম্বরের মধ্যেই টাকা ফেরতের নির্দেশ
- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের নতুন এমডি উলফাত করিম
- একীভূত ৫ ব্যাংকে মালিকদের কর্তৃত্ব শেষ, শেয়ারমূল্য শূন্য
- আলোচনায় থাকলেও যেসব ক্রিকেটার নিলাম থেকে দল পাননি
- ভারতীয় ডাম্পিং চাপে হুমকির মুখে ২৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক শিল্প
- ডিভিডেন্ড অনুমোদনে বিএসইসির দ্বিমুখী নীতি; বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ








.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)

.jpg&w=50&h=35)
