ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ঘুষ না পেয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বেনজিরের বিরুদ্ধে মামলা

২০২৪ অক্টোবর ১০ ১১:৪১:০২
ঘুষ না পেয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বেনজিরের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক র‌্যাব মহাপরিচালক (পরে আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ছয় কোটি টাকা ঘুষ না পেয়ে কোকেন মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে মামলাটি করেন খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের ছেলে মুহাম্মদ নিবরাস।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- র‌্যাব সদর দফতরের সাবেক এডিজি মেজর জিয়াউল আহসান ও চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ এর সাবেক এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর বাবা খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের কাছে বিবাদীরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ছয় কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে বেনজীর আহমদ ও সঙ্গীদের যোগসাজশে বন্দর থানায় করা মামলায় নূর মোহাম্মদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।

অথচ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় এবং বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুল মামুন ও সিএমপির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) কামরুজ্জামান বাদীর বাবাকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করেন।

পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হলে তৎকালীন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদের ইন্ধনে এবং নির্দেশে র‌্যাব-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী মামলার তদন্তভার পান। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি মহিউদ্দিন ফারুকী ফোন করে নূর মোহাম্মদকে মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে ডাকেন। দেখা করার জন্য ওই দিন পতেঙ্গা থানাধীন র‌্যাব কার্যালয়ে গেলে বাদীর বাবাকে তার অফিস কক্ষে নিয়ে যান। তখন কথার ফাঁকে বেনজীর আহমদের জন্য পাঁচ কোটি টাকা এবং তার জন্য এক কোটি টাকাসহ মোট ৬ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন।

র‌্যাব কার্যালয়ের মহিউদ্দিন ফারুকীর চাহিদা মোতাবেক ঘুষ না দেওয়ায় সেদিন তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন। ছয় কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের জন্য বন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। বারবার রিমান্ডে এনে ঘুষ দাবি করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন।

মামলার বাদী মুহাম্মদ নিবরাস দাবি করেন, আমার বাবা কোকেন আমদানির বিষয়ে কিছুই জানতেন না। এর সঙ্গে জড়িতও নন। শুধুমাত্র বেনজীর আহমেদসহ আসামিদের চাহিদা মতো ছয় কোটি টাকা ঘুষ না দেওয়ার কারণে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাদের নির্যাতনের কারণে আমার বাবা শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে কানাডায় চলে যান।

এস/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে