ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

আমাকে ছেলের লাশ উপহার দিছে দেশ: রেমিট্যান্স যোদ্ধা বাবুল সরদার

২০২৪ আগস্ট ০২ ১৬:৪২:৪৪
আমাকে ছেলের লাশ উপহার দিছে দেশ: রেমিট্যান্স যোদ্ধা বাবুল সরদার

প্রবাস ডেস্ক : রেমিট্যান্স যোদ্ধা বাবুল সরদার। কোটা আন্দোলনে তার ছেলে জিসান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ছেলের মৃত্যুতে তার সবকিছু এলেমেলো হয়ে গেছে। গোটা পরিবার মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

বাবুল সরদার বলেন, আমি সাড়ে ৮ বছর ধরে দেশের বাইরে আছি ছেলে-মেয়ে মানুষ করার জন্য। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা; আমাকে আজ আমার ছেলের লাশ উপহার দিছে এই দেশ।

জিসান তার একমাত্র ছেলে। মৃত্যুর খবর শুনে পরদিনই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ছুটে আসেন বাবুল সরদার। এসেই মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন।

গত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ এলাকায় বাসার সামনে জিসানের মৃত্যু হয়।

এদিকে, স্বামীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ৯ দিন পর আত্মহত্যা করেছেন জিসানের স্ত্রী রাবেয়া মিষ্টি। কয়েকদিনের মধ্যে দুটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।

বাবুল সরদার বলেন, পুলিশ গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে। গুলির আঘাতে অনেক বাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে। এই সময় আমার নিরপরাধ ছেলে দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিল। তারপর আমার ছেলের কপালে গুলি লাগে। যা মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবুল সরদার বলেন, আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল; কিন্তু সে যায়নি। আজ যদি আমাকে গুলি করা হয়, আমার কোনো অসুবিধা হতো না। আমি মারা গেলে আমার ছেলে পরিবারের হাল ধরতো। কাল যদি আমার কিছু হয়, আমার পরিবার কে দেখবে?

কয়েক দিনের মধ্যে দুই পরিবারের সবকিছু তছনছ হয়ে গেলে। দুই পরিবারের সবাই মানসিক ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

মাত্র ১৪ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের টানে রাবেয়া মিষ্টিকে বিয়ে করেন জিসান। স্বামীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ৯ দিন পর স্ত্রী বাপের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

আঠারো বছর বয়সী আবদুর রহমান জিসান দোকানে পানি সরবরাহ করতেন। যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ এলাকায় মা-স্ত্রী ও একমাত্র বোনকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন তিনি। বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান জিসান।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে