ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বাংলাদেশের সামনে রেকর্ড গড়ার হাতছানি

২০২৪ মে ১২ ১১:১১:০৮
বাংলাদেশের সামনে রেকর্ড গড়ার হাতছানি

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিয়ে এরই মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে জয়ের ধরন। টানা ৪ ম্যাচে জয় পেলেও বাংলাদেশ দলের খেলার ধরন নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। প্রথম দুই ম্যাচে একতরফা লড়াই হলেও পরের দুই ম্যাচে জিততে স্বাগতিকদের বেগ পেতে হয়েছে।

যদিও গত ম্যাচে একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের কাছে জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য কেমন ক্রিকেট খেলছে দল সেটা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।

রোববার (১২ মে) সকাল ১০টায় মিরপুরে মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ ম্যাচ। এবার রেকর্ডের হাতছানি টাইগারদের। আজ জিতলে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ তে হোয়াইটওয়াশ করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের নজির নেই বাংলাদেশের।

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে শুক্রবার লিটন কুমার দাসকে বসিয়ে সৌম্য সরকারকে একাদশে ফেরায় টিম ম্যানেজমেন্ট। সৌম্য আর তানজীদ হাসান তামিম মিলে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।

শুরুটা হয় দুর্দান্ত, ১১ওভারে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১০০ রান। তবে এরপরই ছন্দপতন, মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, বাংলাদেশের টপ অর্ডার খারাপ করলে মিডল অর্ডার কিছু একটা করবে, আবার টপ অর্ডার ভালো করলে মিডল অর্ডার পারবে না। আগের তিন ম্যাচের দুটিতেই ম্যাচসেরা হওয়া তাওহিদ হৃদয় যেমন এদিন পারেননি।

১০ মাস পর ফেরা সাকিব আল হাসানও ব্যর্থ! রান খরা থেকে বের হতে পারেননি অধিনায়ক শান্তও! যদিও মিডল অর্ডারের এই ব্যর্থতায় চিন্তার কিছু দেখছেন না সৌম্য। তিনি বলেন, ‘একটা ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে। প্রতি ম্যাচে সবাই ভালো করবেও না। আগের ম্যাচগুলোতে ওরাই কিন্তু ভালো করেছে। আশা করছি পরের ম্যাচেও ওরা ঘুরে দাঁড়াবে।’

এরপর রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ভুগলেও পরে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারেই ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে হারিয়ে ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে ৯৪ রানে হারিয়ে বসে ৬ উইকেট।

এরপরও জোনাথন ক্যাম্পবেল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজাদের শেষের জুটিতে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। যদিও শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা। ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে টাইগারদের জেতান সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন রোমাঞ্চিত জয়েও আছে অতৃপ্তি। ১ মাসেরও কম সময় পর বিশ্বকাপ, অথচ শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জয়ের জন্য সংগ্রাম করাটা অনেকের কাছেই ভালো লক্ষণ নয়। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট এসব কথায় কান দিতে চায় না।

চতুর্থ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সৌম্য সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ম্যাচ জেতাটা খুশির ব্যাপার, সেটা যে দলের সঙ্গেই হোক। জয়ের অভ্যাসটাও জরুরি।’

সৌম্য বলেন, ‘কেমন ক্রিকেট খেলেছি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, আমরা কোন ম্যাচে কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলব, দলের ভেতরে সেসব নিয়েও আলোচনা আছে।’

৪২ রানে ১০ উইকেট হারানোর ব্যাখায় সৌম্য বলেন, ‘প্রথম দিকে আমি আর তানজীদ তামিম যখন খেলছিলাম, তখন বল-ব্যাটে ভালো আসছিল। পরে একটু অসম গতির মনে হয়েছে। শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল ১৮০ রান হবে। সবাই সেটা মাথায় রেখেই আক্রমণ করতে গিয়েছে। বল পুরোনো হওয়ার পর ব্যাটিং একটু কঠিন মনে হয়েছে। ওই সময় যদি ১০-১৫ রানের একটা ছোট্ট জুটি হতো, তাহলে সেটা ইনিংসের শেষে আমাদের কাজে লাগত।’

গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর থেকেই চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন সৌম্য। এরপর শুক্রবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি।

চোট কাটিয়ে ফেরার পর নিজের অবস্থা জানাতে গিয়ে সৌম্য বলেন, ‘ভালো লাগছে যে ফিরতে পেরেছি। চোটের মধ্যে থাকাটা কষ্টের ব্যাপার। বাইরে থেকে খেলা দেখতে হয়। সবাই খেলছে, আমি একা কাজ করছি! সব মিলিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’

শেয়ারনিউজ, ১২ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

খেলাধুলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধুলা - এর সব খবর



রে