ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

মিশরে ৩০০ ফিলিস্তিনিকে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশিরা

২০২৪ মে ১১ ২২:০১:২৭
মিশরে ৩০০ ফিলিস্তিনিকে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশিরা

প্রবাস ডেস্ক : মিশরে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর প্রতিবেশী এই দেশটিতে আশ্রয় নেয় তারা। কেউ এসেছেন হারিয়ে যাওয়া পরিবার নিয়ে বা বেঁচে থাকা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ মানুষ গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা রকম সহযোগিতা ও অনুদান দিয়ে।

গাজার মানুষের কাছে অনুদান পৌঁছে দিতে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী সংস্থা কাজ করছে। দেশের সাধারণ মানুষ ও দেশের বাইরে থেকে প্রবাসীদের দেওয়া এসব অনুদান যথাযথ আমানত নিয়ে অসহায় ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এই চারটি সংগঠন। এবং বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কিছু বাংলাদেশী ছাত্র তাদের সাহায্য করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে আসছে।

আল-আজহার চ্যারিটি ফান্ডের মাধ্যমে মিশর থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় অনুদান পাঠানোর পাশাপাশি বাংলাদেশিদের দেওয়া অনুদান মিসরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মধ্যেও বিতরণ করা হচ্ছে।

হাফিজী হুজুর সেবা ফাউন্ডেশন গত মঙ্গলবার কায়রোর নাসের সিটি দারুল আকরাম ইসলামী সেন্টারে একটি অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, প্রতিটি পরিবারের জন্য কমপক্ষে ১৫ দিনের খাবার, শিশুদের খেলনা এবং বিভিন্ন উপহার বিতরণ করেছে।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা রাজিবুল হক মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দাতব্য তহবিল ওয়ার্ল্ড উম্মাহ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিজেই শরণার্থীদের এসব অনুদান ও উপহার দেন।

বাংলাদেশিদের পাঠানো উপহার নিতে আসা বেশ কয়েকজন শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাদের একজন মিস রিহ্যাব মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলায় আমার মা-বোনসহ পরিবারের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। আমি আমার ৮৫ বছর বয়সী বাবার সাথে তুফা, গাজা থেকে জর্ডান হয়ে কায়রোতে এসেছিলাম এবং গাজায় আমার সমস্ত বাড়ি কোনওভাবে বেঁচে গিয়েছিলাম। ইসরায়েলি হামলায় আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, সব শেষ।

তিনি বলেন, আমার বেঁচে থাকা পরিবারের সদস্যরা এখন খান ইউনিসের আশ্রয়কেন্দ্রে একটি তাঁবুতে কোনোভাবে বেঁচে আছেন। তোমার দেশের মানুষের পাঠানো সাহায্যে আমি আমার বৃদ্ধ বাবার সাথে এখানে বসবাস করছি। খান ইউনিস রিহ্যাব ভিডিও কলের মাধ্যমে ক্যাম্পের তাঁবুতে এই প্রতিবেদকের সাথে তার মায়ের সাথে কথাও বলেছেন।

শেয়ারনিউজ, ১১ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে