ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

রেমিট্যান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২০২৪ মে ১১ ১৯:৫৭:৩৪
রেমিট্যান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বিশ্ব রেকর্ড, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

প্রবাস ডেস্ক : ভারত ২০২২ সালে ১১১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আয়ের মাইলফলক অর্জন করেছে ভারত।

গত মঙ্গলবার (০৭ মে) জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রেমিট্যান্স প্রাপ্তির দিক থেকেও ভারতের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। এরপরেই যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সের অবস্থান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে ভারত। প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করেছে দেশটি।

২০২২ সালে ৬১.১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। ২০২১ সালেও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল দেশটি।

এদিকে রেমিট্যান্স গ্রহণে দীর্ঘদিন দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছিল চীন। কিন্তু ২০২১ সালে চীনকে পেছনে ঠেলে দিয়ে দুইয়ে উঠে আসে মেক্সিকো।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০১০, ২০১৫ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার, ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলার ও ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার পেয়ে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারত। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স গ্রহণে প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে দেশটি।

দক্ষিণ এশিয়া থেকে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যায়। তাদের সুবাদে এই অঞ্চল বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের উল্লেখযোগ্য অংশ পেয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ—ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৮ম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এই বছর পাকিস্তান প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

২০২২ সালে রেমিট্যান্স গ্রহণে তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীন ৫১ বিলিয়ন ডলার, চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফিলিপাইন ৩৮.০৫ বিলিয়ন ডলার এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফ্রান্স ৩০.০৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।

এ ছাড়া ২০২২ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা পাকিস্তান ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার, সপ্তম অবস্থানে মিসর ২৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার, অষ্টম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার, নবম অবস্থানে থাকা নাইজেরিয়া ২০.১৩ বিলিয়ন ডলার এবং দশম অবস্থানে থাকা জার্মানি ১৯.২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

রেমিট্যান্সপ্রাপ্তিতে অষ্টম অবস্থানে থাকলেও অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে ভারত, মেক্সিকো, রাশিয়া, চীন ও সিরিয়া।

আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্স বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বহু মানুষের লাইফলাইন হলেও এসব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী কর্মীরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন, আর্থিক শোষণের শিকার হন, অভিবাসন খরচের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক দেনায় ডুবে যান। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তাঁরা ‘জেনোফোবিয়া’রও (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) শিকার হন।

আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় দেশগুলি অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (GCC) দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অভিবাসীরা।

বেশিরভাগ অভিবাসী—বাংলাদেশ, ভারত, মিশর, ইথিওপিয়া এবং কেনিয়ার একটি বড় অংশ—নির্মাণ, আতিথেয়তা, নিরাপত্তা, গৃহকর্ম ও রিটেইল খাতে কাজ করে।

শেয়ারনিউজ, ১১ মে ২২৪

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে